জাতিসংঘের ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত

মিয়ানমারকে অবশ্যই নৃশংসতার যথাযথ তদন্ত করতে হবে

মিয়ানমারকে অবশ্যই নৃশংসতার যথাযথ তদন্ত করতে হবে

ঢাকা, ২ মে (জাস্ট নিউজ) : মিয়ানমারকে অবশ্যই রাখাইন রাজ্যে মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর নৃশংসতার যথাযথ তদন্ত করতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত কারেন পিয়ার্স।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ও মিয়ানমারের অশান্ত রাখাইন রাজ্য পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

কারেন পিয়ার্স বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নারী ও তরুণীর মুখ থেকে তাদের জীবনের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া অগ্নিপরীক্ষার বর্ণনা শুনেছেন। এসব নারী তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া নির্যাতন থেকে বাঁচতে জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছেন।-খবর স্পুটনিক অনলাইনের।

রাখাইনে কূটনৈতিক সফর শেষে পিয়ার্স বলেন, এসব দরিদ্র নারী ও শিশু যে যন্ত্রণাময় জীবন টেনে বেড়াচ্ছেন, তাদের সেই দুর্দশা দেখে তিনি একদিকে সহানুভূতি, অন্যদিকে মানসিক বেদনাবোধ করছেন।

নেপিদোতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দায়িত্ববোধ থেকেই মিয়ানমারকে এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত করতে হবে।

সোমবার জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লিয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর পাঠ্যবইয়ে স্থান পাওয়ার মতো জাতিগত নিধন অভিযানের অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ।

হ্লিয়াং বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানে কোনো রোহিঙ্গা নারীকে ধর্ষণ করা হয়নি এবং তাদের ওপর কোনো দমন-পীড়ন চালানো হয়নি।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ওই এলাকার অন্তত ৩৬২টি রোহিঙ্গা গ্রাম সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস হয়েছে সেনাবাহিনীর অভিযানে। তার মধ্যে অন্তত ৫৫টি রোহিঙ্গা গ্রামের সব স্থাপনা ও ক্ষেত-খামার ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে সমান করে ফেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে স্যাটেলাইট ছবি থেকে।

আকাশ থেকে রাখাইনের ধ্বংসের ক্ষত দেখার পর মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি এবং সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হলাইংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতিসংঘ প্রতিনিধিরা।

সেনাপ্রধানকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউলাইট অব মিয়ানমারের খবরে বলা হয়, যৌন সহিংসতাকে তারা ঘৃণ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করেন এবং যারাই এ অপরাধ করবেন, তাদের বিরুদ্ধেই সেনাবাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/১১১০ঘ.)