বাংলাদেশের হয়ে বঙ্গোপসাগরে অনুসন্ধান চালানো চীনা জাহাজের ওপর ভারতের নজরদারি

বাংলাদেশের হয়ে বঙ্গোপসাগরে অনুসন্ধান চালানো চীনা জাহাজের ওপর ভারতের নজরদারি

বাংলাদেশের এক্সক্লুসিভ ইকোনোমিক জোনে (ইইজেড) তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান করছে চীনের অনুসন্ধানী জাহাজ ‘হাই ইয়াং শি ইয়ু ৭৬০’। ভারতের নৌবাহিনী জানিয়েছে, তারা বঙ্গোপসাগরে চীনের ওই জাহাজের গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

ভারতের গণমাধ্যম ডব্লিউআইওএন এক রিপোর্টে জানিয়েছে, চীনের মালিকানাধীন এই সিসমিক জরিপ জাহাজটি গত ২৯শে ডিসেম্বর মালাক্কা প্রণালী দিয়ে ভারত মহাসাগরে প্রবেশ করে। জানুয়ারি মাস থেকে বাংলাদেশের ইইজেডে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান করছে এটি। আগামী মে মাস পর্যন্ত এই অনুসন্ধান অব্যাহত থাকবে। তবে জাহাজটি চীনের হওয়ায় এ নিয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে ভারত। যদিও একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এখনও ভারতের ইইজেডে প্রবেশ করেনি চীনের ওই জাহাজ, তবে তারা নিবিড়ভাবে এটিকে পর্যবেক্ষণ করে চলেছে।

এর আগে গত বছরের আগস্ট মাসে চীনের ইয়ুয়ান ওয়াং ৫ নামের একটি জাহাজ শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে ভিড়েছিল। এ নিয়ে সেসময় নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিল নয়া দিল্লি। ভারতের তরফ থেকে এই জাহাজটিকে একটি নজরদারি জাহাজ বলেও দাবি করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত মহাসাগরে চীনা জাহাজের উপস্থিতি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ভারতের নৌবাহিনীও আগের থেকে আরও বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

চীনা জাহাজ এ অঞ্চলে অবৈধভাবে মাছ ধরছে এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে।

রিপোর্টে আরও বলা হয়, ভারত মহাসাগরে চীনের উপস্থিতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় নৌবাহিনীও তার সামুদ্রিক উপস্থিতি এবং নজরদারি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করছে। গুরুগ্রামে অবস্থিত ভারতীয় নৌবাহিনীর ইনফরমেশন ফিউশন সেন্টার ভারত মহাসাগরের গতিবিধির উপর নজর রাখে। ২০১৮ সালে এই ইনফরমেশন সেন্টার উদ্বোধন করা হয় যাতে করে এ অঞ্চলের সমুদ্রে চলমান ঘটনাগুলো সম্পর্কে যত দ্রুত সম্ভব জানা যায়।