ম্যার্কেল-পুতিন বৈঠক সম্পন্ন

ম্যার্কেল-পুতিন বৈঠক সম্পন্ন

ঢাকা, ১৮ মে (জাস্ট নিউজ) : বৈঠকে দুই নেতা সিরিয়া, দ্বিতীয় গ্যাস পাইপলাইন ও ইরান পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন৷ ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের সমালোচনা করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর৷

আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা বিষয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্য দিয়েই বৈঠকে করলেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন৷

শুক্রবার রাশিয়ার সোচি শহরে হওয়া এই বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে ম্যার্কেল বলেন, ইরানে পরমাণু চুক্তির চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না৷ এছাড়া পূর্ব ইউক্রেনে অস্ত্রবিরতি ভঙ্গের ঘটনারও সমালোচনা করেন তিনি৷

ইউক্রেন ইস্যু
দুই নেতাই পূর্ব ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার ‘একমাত্র ভিত' হিসেবে মিনস্ক চুক্তির কথা উল্লেখ করেন৷ তারা উভয়েই মনে করেন যে, এতে জার্মানি, ফ্রান্স, রাশিয়া ও ইউক্রেনের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই এর বাস্তবায়ন সম্ভব৷

সেখানে অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের সমালোচনা করেন ম্যার্কেল৷ পুতিন ইউক্রেনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর অবস্থানের সমর্থন করছেন৷

নর্ড স্ট্রিম ২ গ্যাস পাইপলাইন করা হলেও ইউক্রেনের মধ্য দিয়ে প্রথম গ্যাস পাইপলাইনটিও সচল রাখার পক্ষে জোরালো সমর্থন দেন ম্যার্কেল৷ বলেন, “এক্ষেত্রে জার্মানি তার দায়িত্ব পালন করবে৷”

পুতিনও আশ্বস্ত করে বলেন যে, ইউক্রেনে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত থাকবে৷ “অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হলে অবশ্যই গ্যাস সরবরাহ করব আমরা৷” বলেন তিনি৷

পুতিন অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেননি৷ বরং তিনি বলেন, “আমি বুঝি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তার দেশের ব্যবসায়িক স্বার্থকেই আগে দেখছেন৷ ইউরোপের বাজারে তিনি তার দেশের পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে চান৷”

পুতিন বলেন, “ডোনাল্ড শুধু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টই নন, তিনি নিজেও একজন ভালো উদ্যোক্তা৷”

মধ্যপ্রাচ্য
ম্যার্কেল বলেন, ইরান চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে একটি কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ “এটা হয়তো সবদিক থেকে যথাযথ চুক্তি নয়, কিন্তু এর চেয়ে ভালো কোনো চুক্তি হয়নি।“ বলেন তিনি৷

পুতিন বলেন যে, ইউরোপীয় দেশগুলোকে সিরিয়া পুনর্নিমাণে সহযোগিতা করা উচিত, যদি তারা চায় যে, সে দেশ থেকে আসা শরণার্থীরা ফিরে যাক৷

আর কী বলা হয়েছে?

পুতিন বলেন যে, আলোচনা খুবই ‘ফলপ্রসূ' হয়েছে৷

ম্যার্কেল বলেন, “ভিন্নমত থাকলেও বড় সমস্যাগুলো কার্যকরী আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা যায়৷”

দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু ইস্যুতে মতভেদের মাঝখানে ইরান পরমাণু চুক্তি নিয়ে জার্মানি ও রাশিয়ার একই দৃষ্টিভঙ্গিকে বিরল হিসেবেই দেখা হচ্ছে৷ সম্প্রতি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে রাশিয়ার সমর্থন, তাদের ক্রাইমিয়া দখল এবং পূর্ব ইউক্রেনে আগ্রাসনসহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে রাশিয়ার কড়া সমালোচনা করেছে জার্মানি৷ -ডয়চে ভেলে

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/২১৩৯ঘ.)