ইসরাইল লক্ষ্য করে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হবে: হামাস

ইসরাইল লক্ষ্য করে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হবে: হামাস

ঢাকা, ৩০ মে (জাস্ট নিউজ) : ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মুখপাত্র ফুজি বারহুম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, গাজা উপত্যকায় তেল আবিবের ধারাবাহিক হামলার পরিণতির জন্য ইহুদিবাদী ইসরাইলকে দায়ী থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ইহুদিবাদী সেনাদের বর্বরোচিত হামলা ও আগ্রাসনের জবাবে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে গাজা উপত্যকা থেকে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে তা ফিলিস্তিনিদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার।

মঙ্গলবার গাজা উপত্যকার অন্তত ৩০ অবস্থানে ইসরাইল বিমান হামলা চালানোর পর প্রতিরোধ সংগঠনগুলো অধিকৃত ভূখ- লক্ষ্য করে বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এরপর এক বক্তব্যে বারহুম একথা বলেন।

এদিকে ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের মুখপাত্র দাউদ শাহাব বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল ২০১৪ সালে স্বাক্ষরিত গাজা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। কাজেই এখন প্রতিরোধ শক্তিগুলোর একথা প্রমাণ করার সময় এসেছে তারা তেল আবিবের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে।

তিনি আরো বলেন, আমরা সংকট সৃষ্টি কিংবা যুদ্ধের দিকে যেতে চাই না, কিন্তু একথা প্রমাণ করতে চাই, যেকোনো আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দেয়ার শক্তি আমাদের আছে।

এ ছাড়া, গাজার নাসির সালাউদ্দিন ব্রিগেড এক ঘোষণায় বলেছে, মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি বদলে গেছে। ইহুদিবাদী ইসরাইল যুদ্ধ করতে পারে কিন্তু তার শেষ কখন হবে সে সিদ্ধান্ত নেয়ার অবস্থায় আর তেল আবিব নেই। গাজার প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ওই ঘোষণায় বলা হয়েছে, কুদস দখলদার বাহিনীর যেকোনো কাপুরুষতার জবাবে তাদের ঘাড়ের ওপর ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র নেমে আসবে।

ইহুদিবাদী ইসরাইলি জঙ্গি বিমানগুলো গতকাল (মঙ্গলবার) গাজা উপত্যকার অন্তত ৩০টি অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। গত চার বছরের মধ্যে এটি ছিল গাজায় ইসরাইলের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা।

এসব হামলার জবাবে গাজার প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো ইসরাইলি বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলা নিক্ষেপ করেছে। মঙ্গলবার গাজার সীমান্তবর্তী ইহুদি উপশহরগুলোতে বারবার সাইরেন বেজে উঠেছে বলে ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১০৪১ঘ.)