গুয়াতেমালায় আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৫, নিখোঁজ ২০০

গুয়াতেমালায় আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৫, নিখোঁজ ২০০

ঢাকা, ৬ জুন (জাস্ট নিউজ) : মধ্য আমেরিকার গুয়াতেমালার ফুয়েগো আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণে উৎক্ষিপ্ত উত্তপ্ত ধূলি ও ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধারকর্মীরা আরো লাশ উদ্ধার করেছে। এ নিয়ে প্রাকৃতিক এই ভয়াবহ দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ১৯২ জন নিখোঁজ রয়েছে। খবর বিবিসি।

আগ্নেয়গিরির দক্ষিণ পার্শ্ববর্তী একটি নতুন অগ্ন্যুৎপাতে গরম গ্যাস এবং গলিত শিলা ওঠায় মঙ্গলবার উদ্ধারকাজ বন্ধ ছিল। রবিবার এ ঘটনায় প্রায় ১৭ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ হাজার জনকে অন্যত্র চলে যেতে বলা হয়েছে।

রবিবার ভোরে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে আকাশের তিন হাজার ৭৬৩ মিটার উঁচুতে ছাইমেঘ, উত্তপ্ত কাদামাটি ও পাথরকণা ছড়িয়ে পড়ে। পার্বত্য দক্ষিণাঞ্চলে উদ্ধার কার্যক্রম শুরুর পর মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে।

প্রাথমিকভাবে ২৫ জন মারা যাওয়ার পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মৃতের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। উত্তপ্ত কাদামাটির নিচ থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।

গুয়াতেমালার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার কর্মকর্তা সার্গিও কাবানাস বলেন, ‘এখনও বহু লোক নিখোঁজ রয়েছেন। তবে আমরা তাদের সঠিক সংখ্যা জানি না।’

উত্তপ্ত লাভা এত দ্রুত ওই পার্বত্য পাদদেশের বাসিন্দাদের কাছে চলে আসে যে ঘটনার আকস্মিকতায় তারা স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। অনেককে তাদের বাড়ি ও এর আশপাশে মৃত পাওয়া গেছে।

কাবানাস বলেন, রবিবার দ্রুতগতিতে আসা উত্তপ্ত গলিত লাভা থেকে যারা পালিয়ে যেতে পারেননি তারা মারা গেছেন। দ্রুতগতিতে ধেয়ে আসা লাভা তাদের গ্রাস করে। উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে।

সান মিগুয়েল লস লোটেস গ্রামের ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে অন্তত তিনটি দগ্ধ লাশ পাওয়া গেছে। গ্রামটিতে উদ্ধারকর্মী, সেনা ও পুলিশ সদস্যরা জীবিতদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন।

উত্তপ্ত কাদা ও ছাইয়ের মধ্যে বহু মৃত কুকুর, মুরগি ও হাঁস রয়েছে। এগুলো থেকে এখনও ধোঁয়া উড়ছে।

প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেস এ ঘটনায় তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন। তিনি দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/২১৩৪ঘ.)