বদলে গেছেন মালালা!

বদলে গেছেন মালালা!

ঢাকা, ২৩ জুন (জাস্ট নিউজ) : বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নোবেল (শান্তি) পুরস্কার জয়ী মালালা ইউসুফজাই। সেই সময়ের মালালা আর এখনকার মালালার মধ্যে পার্থক্য অনেক। বর্তমানে অনেকটাই বদলে গেছেন তিনি। খবর পাকিস্তান টুডের।

২০১২ সালে পাকিস্তানের তালেবানদের হাতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর গোটা বিশ্ব চেনে মালালাকে। ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনশাস্ত্র, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রি নিতে ভর্তি হন তিনি। এরপর থেকে নিজের মধ্যে অনেকটাই পরিবর্তন নিয়ে আসেন মালালা।

পাকিস্তান টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে মালালার পোশাকেও এসেছে পশ্চিমা ছোঁয়া। অক্সফোর্ডের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পোশাকে এনেছেন ব্যাপক পরিবর্তন। স্কিনি জিন্স প্যান্টের সঙ্গে টপস, টি-শার্টসহ পায়ে হাই হিল জুতো। যদিও আগের মতো এখনো তিনি ওড়না দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতেই ভালোবাসেন।

শুধু তাই নয়, হিন্দু সম্প্রদায়ের দীপাবলি, হোলি উৎসবে রং মাখামাখি, মধ্যরাতে বন্ধুদের নিয়ে রেস্তোরাঁ থেকে খাবার কেনা, পার্টিতে রাতভর আড্ডাসহ আরও অনেক কিছুতেই অংশ সমানতালে অংশগ্রহণ রয়েছে তার। বন্ধুদের নিয়ে পোলো খেলেন। মার্কিন সংগীতশিল্পী বিয়ন্সের গানের তালে নাচতেও শিখে গেছেন তিনি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম কমিউনিটির পাশাপাশি হিন্দু কমিউনিটির সঙ্গেও যুক্ত হয়েছেন মালালা।

পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকার মেয়ে মালালা ইউসুফজাইয়ের জন্ম ১৯৯৭ সালের ১২ জুলাই। ১১ বছর বয়স থেকে নারীশিক্ষার পক্ষে পাকিস্তানে ব্লগ লেখা শুরু করেছিলেন মালালা। যার পরিণাম হয়েছিল খুবই ভয়াবহ। ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর সোয়াত উপত্যকার মিনগোরাত এলাকায় ১৪ বছর বয়সী মালালা ও তার দুই বান্ধবীকে স্কুলের সামনেই গুলি করে তালেবান জঙ্গিরা।

মেয়েদের শিক্ষা বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদ করায় মালালার মাথায় গুলি করেছিল তালেবান বন্দুকধারীরা। এখন ২০ বছর বয়সী মালালা সেই নারী শিক্ষার জন্যই কাজ করে চলেছেন।

মালালার স্বপ্ন সফল করতে ২০১২ সালের ১০ নভেম্বরকে ‘মালালা দিবস’ ঘোষণা করে জাতিসংঘ। বিভিন্ন দেশে মেয়েদের শিক্ষার সহায়তায় গঠন করেন মালালা ফান্ড। শিশু ও তরুণদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৪ সালে ভারতের শিশু অধিকার কর্মী কৈলাস সত্যার্থীর সঙ্গে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান মালালা ইউসুফজাই।

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/২১২২ঘ.)