একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদেরও ভারতে থাকতে দেয়া হবে না: অমিত শাহ

একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদেরও ভারতে থাকতে দেয়া হবে না: অমিত শাহ

ঢাকা, ১২ সেপ্টেম্বর (জাস্ট নিউজ) : ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা সকল অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা হবে এবং এক একজন করে তাদের এদেশ থেকে ফেরত পাঠানো হবে।

মঙ্গলবার দেশটির রাজস্থানের জয়পুরে দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ভারতে কোন অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদেরই থাকতে দেওয়া হবে না।

আসামে প্রকাশিত জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি)-এর খসড়া তালিকা ইস্যুতে কংগ্রেসকে এক হাত নিয়ে বিজেপি সভাপতি বলেন, আপনাদের যত বিরোধিতা করার করতে পারেন, ভারতীয় জনতা পার্টির অঙ্গীকার হচ্ছে একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদেরও এদেশে থাকতে দেওয়া হবে না। এক একজন করে সনাক্ত করে তাদের ফেরত পাঠানো হবে। আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি। এনআরসি কার্যকর করা থেকে বিজেপি কখনওই পিছিয়ে আসবে না।

এনআরসি ইস্যুতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতিরও অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি সভাপতি। তিনি বলেন, আমরা যখন ৪০ লাখ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা তৈরি করলাম, কংগ্রেস তখন শোরগোল ফেলে দিল। তারা ভেঙে পড়ল। আসলে যারা নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে চিন্তিত তারাই এনআরসির বিরোধিতা করছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছেন। তারা এই দেশ বা দেশের গরিব মানুষদের নিয়ে একটুও চিন্তিত নয়।

এই ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও ভূমিকাকে কটাক্ষ করেন তিনি। অমিত বলেন, যারা ভারতে অবৈধভাবে বসবাস করছেন পশ্চিমবঙ্গের নেত্রীও তাদের ভালোর জন্য খুবই চিন্তিত অথচ দেশবাসীর জন্য তার কোন উদ্বেগ নেই।

অমিত শাহ আরও জানান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে বসবাসরত সংখ্যালঘুরা (হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান) ভারতে আসলে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কারণ তারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী নয়, বরং শরণার্থী।

এর আগে গত সোমবার দিল্লিতে বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব বলেছিলেনন, আসাম রাজ্যের জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়া নাগরিকদের ভোটাধিকার খর্ব করা হবে এবং তাদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য গত ৩০ জুলাই আসামে প্রকাশিত হয় জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-এর চূড়ান্ত খসড়া তালিকা। এনআরসি’এর কাছে জমা পড়া ৩.২৯ কোটি আবেদনকারীর মধ্যে চূড়ান্ত খসড়া তালিকায় থেকে বাদ পড়ে প্রায় ৪০ লাখ বাসিন্দা। এর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে এই ইস্যুতে বিতর্ক চলছেই।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১২২৭ঘ.)