ওয়াজ মাহফিলে কোনও মহলের হস্তক্ষেপ হিতে বিপরীত হবে: আহমদ শফী

ওয়াজ মাহফিলে কোনও মহলের হস্তক্ষেপ হিতে বিপরীত হবে: আহমদ শফী

যারা কওমি সনদের বিরোধিতা করেছিল, তারাই ওয়াজ মাহফিলের প্রশ্নে সরকারকে বিভ্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী।

বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়াজ মাহফিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশের বিষয়ে মতবিনিময়ের লক্ষ্যে দেশের আলেমদের একটি প্রতিনিধিদল চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গেলে এসব কথা বলেন আহমদ শফী।

হেফাজতে ইসলামের আমির বলেন, ওয়াজ মাহফিলসহ দীনের দাওয়াত আলেমদের গুরুত্বপূর্ণ কর্মক্ষেত্র। এর তদারকির জন্য শীর্ষস্থানীয় আলেমরাই যথেষ্ট। ধর্মীয় স্পর্শকাতর এই বিষয়ে অন্য কোনও মহলের হস্তক্ষেপ হিতে বিপরীত হবে। সরকারকে আলেম সমাজের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেবে।

তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে ঘাপটি মেরে বসে থাকা নাস্তিক, মুরতাদ ও আলেমবিদ্বেষী গোষ্ঠী, যারা এর আগে কওমি সনদের স্বীকৃতির বিরোধিতা করেছিল, তারাই আবার সরকারকে বিভ্রান্ত করছে।’

তিনি আরো বলেন, কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক বয়ান করা আলেমদের দায়িত্ব। এটা কোনও অজুহাত তৈরি করে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।

আল্লামা আহমদ শফী বলেন, আলেম সমাজ নবীদের উত্তরসূরি। কোরআন-সুন্নাহর আলোকে জাতিকে নির্দেশনা দেওয়া তাদের কর্তব্য। শাসক ও জনগণকে নসিহত করা তাদের জিম্মাদারি। কল্যাণের প্রতি আহ্বান জানানো ও অকল্যাণের প্রতিরোধ করতে আলেমদের স্বয়ং আল্লাহ ও ইসলামের শেষ নবী হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন। তাই কোনও অবস্থাতেই আলেম সমাজের পক্ষে এই দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।

আহমদ শফী আরো বলেন, কওমি মাদ্রাসাগুলোতে দেশপ্রেম ও জাতির প্রতি ভালোবাসার আদর্শ শিক্ষা দেই। এজন্য জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদসহ দেশ ও ইসলামবিরোধী সব চরমপন্থার বিরুদ্ধে ওলামায়ে কেরামের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তারা নারী অধিকারের কথা বলেন, নারী নির্যাতন ও যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখেন। সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে আলেম সমাজের অবদান অপরিসীম।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, মাওলানা আব্দুল হামিদ ( মধুপুরের পীর), মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদি, মুফতি মাহফুজুল হক, মাওলানা আনাস মাদানি, মাওলানা মুঈনুদ্দিন রুহি, মুফতি ইমাদুদ্দিন, মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজি, মাওলানা মাসউদুল করিম, মাওলানা মামুনুল হক, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবি, মুফতি কেফায়াতুল্লাহ আযহারি, মুফতি আব্দুর রাজ্জাক কাসেমি, মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, মাওলানা শফিকুর রহমান, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা আবুল কাসেম আশরাফি, মাওলানা রাফি বিন মুনির, মাওলানা লোকমান সাদী, মাওলানা আব্দুর রহিম আল মাদানি ও মাওলানা ইয়াকুব উসমানি প্রমুখ।

এমআই