কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করে সংখ্যালঘু হিসেবে থাকতে দেয়া হোক: আল্লামা শফী

কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করে সংখ্যালঘু হিসেবে থাকতে দেয়া হোক: আল্লামা শফী

হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, কাদিয়ানী সম্প্রদায় মুসলমান নয়, তারা অমুসলমান। একই সাথে তাদেরকে যারা অমুসলমান মনে করেন না, তারাও অমুসলামান। কাদিয়ানীদের মেয়েকে বিবাহ করা যাবে না। একই সাথে কাদিয়ানীদের ছেলেদের সাথে মেয়েকে বিয়ে দেয়া যাবে না। কাদিয়ানীরা কাফের। যারা তাদেরকে কাফের মনে করেন না, তারাও কাফের। আমরা শেখ হাসিনা সরকারকে বলবো কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রিয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করার জন্য।

পঞ্চগড়ে সম্মিলিত খতমে নবুয়তের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়ামে এসময় কয়েক হাজার মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। এর আগে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ছেলে আনাস মাদানী।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নামে একজন ব্যক্তি নিজেকে নবী দাবি করেছে। সে কাফের। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশেও ১৯৯৩ সালে হাইকোর্টের রায়ে এরা কাফের সাব্যস্ত হয়েছে। অবিলম্বে এই রায়কে কার্যকর করার দাবি জানান তিনি।

এসময় তিনি আরো বলেন, মুসলিম পরিচয়ে কাদিয়ানীরা এই দেশে বসবাস করতে পারবে না। এই দেশে কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করে সংখালঘু হিসেবে থাকতে দেয়া হোক।

এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, কাদিয়ানীরা ছাড়াও কয়েকটি সম্প্রদায় ইসলামকে ভুল ভাবে উপস্থাপন করছে। এদের মধ্যে আহমদ রেজা খান দেহলভির রেযাখানি ফেরকা, আবুল আলা মওদুদির মওদুদি মতবাদলা মাযহাবী ও আহলে হাদিসের বিশ্বাসীরা, তাবলীগ জামাতের সাদপন্থি মতবাদ এবং খ্রিষ্টান মিশনারীদের অন্তর্ভুক্তরা ইসলামের নামে ধোকা দিচ্ছে।

কাদীয়ানীদেরকে সমর্থন করার জন্য এসময় তিনি ওয়ার্কাস পার্টির নেতা সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননের তীব্র সমালোচনা করেন এবং এ সম্পর্কে তার দেয়া বক্তব্যের নিন্দা জানান।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ইন্টারন্যশনাল খতমে নুবুয়্যতের বাংলাদেশ আমির মাহমুদুল হাসান মনতাজী, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ড. আসম শোয়াইব আহমদ, বাংলাদেশ খতমে নবুয়্যত সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি আব্দুল হামিদ, আমরা ঢাকাবাসী সংগঠনের সভাপতি শামসুল হক সাহেব, খতমে নবুয়্যত মার্কাসের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি শুয়াইব ইব্রাহীম, খতমে নবুয়্যত আন্দোলনের বাংলাদেশের আমীর বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, ঢাকার দারুন্নাজাত কামিল মাদ্রাসার মোহাদ্দেস উসমান গণি সালেহী প্রমুখ।

বক্তারা এসময় বলেন, কাদিয়নীদের কোন প্রকার সাহায্য করবেন না। যাদের আত্মীয়-স্বজন টাকা পয়সা নিয়ে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তাদের ফিরিয়ে আনুন। বিকেলে মোনাজাতের মাধ্যমে সম্মেলন শেষ হয়।

এমআই