হজের নিবন্ধনের সময় ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে

হজের নিবন্ধনের সময় ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে

হজের নিবন্ধনের সময় আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। শেষবারের মতো এই সময় বাড়ানোর কথা জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রনালয়। এ নিয়ে চতুর্থ দফায় সময় বাড়ানো হলো।

গত ১ মার্চ থেকে হজের নিবন্ধন শুরুর পর বৃহস্পতিবার তৃতীয় দফায় বর্ধিত সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর কোটার মাত্র ৩৯ শতাংশ হজযাত্রীর নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে আসন্ন হজের ব্যাপারে অনিশ্চয়তার কারণেই মুলত: দফায় দফায় সময় বৃদ্ধির পরও হজযাত্রীর নিবন্ধন সেভাবে বাড়ছেনা বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সৌদি সরকার পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত হজের কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে। তবে ধর্ম মন্ত্রণালয় বিমান ভাড়া ও সার্ভিস চার্জ বাবদ ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৯০টাকা এজেন্সির নির্ধারিত ব্যাংক একাউন্টে জমা নিশ্চিত করে হজযাত্রীদের নিবন্ধন চলমান রেখেছে।

বৃহস্পতিবার ছিল তৃতীয় দফায় বাড়ানো সময়ের শেষ দিনে সরকারি-বেসরকারি মিলে মোট নিবন্ধনেরসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৪২১ জনে । এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার ৩ হাজার ৪০৫ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৫১ হাজার ১৬ জন। এ বছর বাংলাদেশের জন্য হজের মোট কোটা ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮জন।

এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপানর ১৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ১লাখ ২০ হাজার জন। এই হিসেবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট হজযাত্রীর ৩৯.৩৮ শতাংশের নিবন্ধন হয়েছে।

গত ১ মার্চ থেকে হজযাত্রীর নিবন্ধন শুরু হলে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছিল। পরে তা ২৫ মার্চ, ৮ এপ্রিল এবং ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তা আবারো বৃদ্ধি করে ৩০ এপ্রিল করা হয়েছে।

এ বছর যারা হজের জন্য নিবন্ধন করছেন তাদের প্রাক-নিবন্ধন আগেই সম্পন্ন হয়েছে। প্রাক-নিবন্ধনের তালিকা থেকেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হজের মুল নিবন্ধন করা হচ্ছে। সর্বশেষ দেয়া সময়সীমিার মধ্যে প্রাক-নিবন্ধনের ক্রমিক নম্বর ৬ লাখ ৭২ হাজার ১৯৯’র মধ্যেই নিবন্ধন সম্পন্ন করা যাবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সময়বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তিতে হজযাত্রীদের এখন বিমান ভাড়া ও সার্ভিস চার্জের টাকার ১ লাখ ৫১হাজার ৯৯০ টাকার বেশি কোনভাবেই পরিশোধ করতে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি হজযাত্রীদের টাকা হজের কাজ ব্যতীত কোনভাবেই খরচ করতে না দেয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩০ জুলাই (৯ জিলহজ) এ বছরের হজ পালিত হওয়ার কথা। তবে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এই বছরের হজ স্থগিত হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।