প্রখ্যাত মোফাসসির যুবায়ের আনসারীর জানাজায় লাখো মানুষের ঢল

প্রখ্যাত মোফাসসির যুবায়ের আনসারীর জানাজায় লাখো মানুষের ঢল

প্রখ্যাত মোফাসসিরে কুরআন ও বরেণ্য ইসলামি আলোচক আল্লামা মাওলানা যুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় লাখো মানুষের সমাগম হয়েছে। দেশব্যাপী করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে লকডাউন উপেক্ষা করে বিপুল সংখ্যক মানুষ তার জানাজায় অংশ নেন।

শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া রহমানিয়া বেড়তলা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশেও হাজার হাজার মানুষ জানাজায় শরিক হন।

একদিকে বিশ্বরোড মোড় হয়ে সরাইলের মোড় পর্যন্ত অন্যদিকে আশুগঞ্জে কাছাকাছি গিয়ে ঠেকে লোকজন। এছাড়া ওই এলাকার বিভিন্ন ভবনের ছাদেও মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। জেলার শীর্ষ আলেম ওলামা ছাড়াও মাদ্রাসার ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ জানাজায় অংশ নেন। জানাজায় ইমামতি করেন মাওলানা আনসারীর ছেলে হাফেজ মাওলানা আসাদ উল্লাহ।

অন্যদের মধ্যে জানাজায় অংশ নেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমির মাওলানা ইসমাইল নূরপুরী, মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা জালাল উদ্দিন, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মহসিনুল হাসান, জেলার শীর্ষ স্থানীয় আলেম মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা মোবারক উল্লাহ, মাওলানা আ. রহিম কাসেমী, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা সভাপতি হাফেজ মাওলানা ইদ্রিস, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা বোরহান উদ্দিন কাসেমী, জেলা খেলাফত মজলিশের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবদুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাঈনুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইউসূফ ভূইঁয়া প্রমুখ।

সরাইল থানার ওসি মো. শাহাদাত হোসেন টিটু বলেন, মাওলানা আনসারীর জানাজায় লাখো মানুষের সমাগম হয়েছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও ঢাকা থেকে লোকজন এসেছে। আমরা চিন্তাও করতে পারিনি যে এত লোক হবে। লোকজন আসতে শুরু করার পর আমাদের আর কিছু করার ছিল না।

তবে উপস্থিত লোকজন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জানাজায় শরিক হয়েছেন বলে ওসি দাবি করেন। প্রসঙ্গত শুক্রবার বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মার্কাসপাড়ায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন যুবায়ের আহমেদ আনসারী। তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, চার মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মাওলানা যুবায়ের আহমেদ আনসারী বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির এবং বেড়তলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন। এ ছাড়া তিনি একাধিক মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। ইসলামি আলোচক হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার বিশ্বজুড়ে।