এখন তওবার গুরুত্ব বেশি

এখন তওবার গুরুত্ব বেশি

রমজানুল মোবারকের আজ শনিবার ২৫ তারিখ। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজানের শেষভাগকে জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য বলে ঘোষণা করেছেন। পাপরাশির ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তওবা শিক্ষা দিয়েছেন এবং তওবার বদৌলতে গুরুতর পাপ থেকেও মুক্তির সুসংবাদ দিয়েছেন। কুরআন মজিদেও আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ না হওয়ার কথা বলা হয়েছে। শিরক ও কুফর ছাড়া সব ধরনের পাপ আল্লাহ মাফ করে দিতে পারেন। তবে এ জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও তওবা করতে হবে।

বিশ্ব মানবতার প্রতি ইসলামের অন্যতম অবদান এই যে, মানুষকে হতাশা থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। শত পাপ করেও কেউ অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাইলে তাকে ক্ষমা করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার বিশেষ হুকুম রমজানের সিয়াম সাধনা পালন করে মুমিন বান্দার মধ্যে এমন পরিশুদ্ধি অর্জিত হয় যে, তার পাপরাশি ক্ষমা হয়ে যায়। কেননা দীর্ঘ সময়ব্যাপী কষ্টকর ইবাদতটি করার কারণে তার নিজের অন্যায় সম্পর্কে অনুভূতি জেগে ওঠে। সে তখন অনুশোচনা বোধ করে। এটাই তওবা। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, অনুশোচনাই তওবা এবং তওবাকারী সেই ব্যক্তির মতো যার কোনো পাপ নেই।

আম্বিয়ায়ে কেরাম ছাড়া সব মানুষই কম বেশি ভুল করে। তবে অন্যায় বা ভুল করার পর যারা অনুতপ্ত হয়, ভুলের জন্য ক্ষমা চায়, আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন এবং ক্ষমা করে দেন। পক্ষান্তরে যারা অন্যায় স্বীকার করে না, অন্যায় হয়ে গেছে বুঝতে পেরেও তওবা করে না, আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন না। তাই ইসলামের শিক্ষা হলো, যখনই কোনো অন্যায় হয়ে যায়, তখন অবিলম্বে তওবা করতে হবে। এ প্রসঙ্গে কুরআন মজিদে ইরশাদ করা হয়েছে- আল্লাহ তাদেরই তওবা কবুল করেন যারা না জেনে মন্দ কাজ করে, তারপর অচিরেই তওবা করে। এদেরই তওবা আল্লাহ কবুল করেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী প্রজ্ঞাময় (সূরা নিসা, আয়াত ১৭)।

অতএব সজ্ঞানে অন্যায় করা গুরুতর। আবার অন্যায় করে ফেলার পর তওবা না করা আরো অন্যায়। তেমনি অন্যায় করে যেতে থাকাও গুরুতর। এ প্রসঙ্গে কুরআন মজিদে ইরশাদ হয়েছে- তওবা তাদের জন্য নয়, যারা মন্দ কাজ করতে থাকে। এভাবে যখন তাদের কারো মৃত্যু এসে যায়, তখন বলে আমি এখন তওবা করছি। তেমনি তাদের জন্যও নয়, যারা কাফের অবস্থায় মারা যায়। তাদের জন্য আমি প্রস্তুত রেখেছি যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ( সূরা নিসা, আয়াত ১৮)।

এমজে/