আপনার জিজ্ঞাসা

পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমানো কি জায়েজ?

পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমানো কি জায়েজ?

ঢাকা, ৯ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

আপনার জিজ্ঞাসার ১৯৪৭তম পর্বে পশ্চিম বা উত্তর দিকে পা দিয়ে ঘুমানো জায়েজ কি না, সে সম্পর্কে ই-মেইলে জানতে চেয়েছেন জাহিদ হাসান। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।

প্রশ্ন : পশ্চিম বা উত্তর দিকে পা দিয়ে ঘুমানো কি নাজায়েজ? আমার বাবা আমাকে এভাবে পা দিয়ে ঘুমাতে দেন না। তাঁর মতে, এটা নাকি গুনাহের কাজ। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে আমার অনেক তর্ক-বিতর্ক হয়। আশা করি, আপনার কাছে সঠিক উত্তর পাব।

উত্তর : পশ্চিম বা উত্তর দিকে পা দিয়ে ঘুমানো নিষেধ- এমনটি হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়নি। এটি হারাম অথবা মাকরুহ অথবা অপছন্দনীয়- এমন কোনো বক্তব্য রাসূল (সা.)-এর হাদিসের মাধ্যমে অথবা ফিকর ওলামায়ে কেরামদের বক্তব্যের মাধ্যমে সাব্যস্ত হয়নি। সুতরাং যদি কেউ বলেন যে এটি গুনাহের কাজ, তাহলে ভুল কথা বলেছেন। পূর্ব-পশ্চিম সবটাই আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সৃষ্টি এবং আল্লাহর বান্দা যেকোনো দিকেই পা দিয়ে ঘুমাতে পারেন। এটি জায়েজ রয়েছে।

আমাদের যেহেতু কেবলামুখী হয়ে সালাত আদায়ের কথা বলা হয়েছে; আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কোরআনে কারিমের মধ্যে বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের চেহারাগুলোকে মসজিদুল হারামের দিকে ফিরিয়ে নাও।’ এই যে কেবলামুখী হতে আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এটি কেবলার সম্মান করার জন্য। কোনোভাবেই ইমানদার ব্যক্তিদের জন্য জায়েজ নেই, কোনো আচরণের মাধ্যমে কেবলার অসম্মান ঘটাবে। যে কাজগুলো কেবলার অসম্মান ঘটায়, সে কাজগুলো করা হারাম, জায়েজ নেই। যেমন : কেবলার দিকে থুতু ফেলা, এটি রাসূল (সা.) নিষেধ করেছেন। এর মাধ্যমে অসম্মান হয়ে থাকে। কিন্তু পা দেওয়াটা অসম্মানের বিষয় নয়। কারণ, শুতে হলে কোনো দিকে তো পা দিতে হবে। প্রয়োজনে যেকোনো দিকে পা দেওয়া যাবে। কেবলার অসম্মানের সঙ্গে এটি জড়িত নয়। তাই কেউ যদি মনে করে থাকেন এটি কেবলার অসম্মান, তিনি আসলে এটি ভুল বুঝেছেন। এটি শুদ্ধ নয়, তাঁকে সংশোধন করতে হবে।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১০০০ঘ.)