হজ করে নিজেকে আলহাজ বলা কি জায়েজ?

হজ করে নিজেকে আলহাজ বলা কি জায়েজ?

ঢাকা, ১৬ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। শরীফ বায়জীদ মাহমুদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মো. মতিউল ইসলাম।

আপনার জিজ্ঞাসার ২১৫৪তম পর্বে হজ করে নিজেকে আলহাজ বলা যাবে কি না, সে সম্পর্কে চট্টগ্রাম থেকে ই-মেইলে জানতে চেয়েছেন মো. জিল্লুর রহমান। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।

প্রশ্ন: হজ করে নিজেকে আলহাজ বলা যাবে কি?

উত্তর: না, এটা ঠিক না। আমরা এটি করবো না। আপনি কি নামাজ পড়ে আল-মুসল্লি বলেন? বা রোজা করার পরে আস-সাঈম বলা হয় নাকি?

হজ, আল্লাহর ইবাদত। কোরআন কারিমে এসেছে, ‘আল্লাহর জন্য হজ আদায় করবে।’

যদি মনে মনে এটা ভাবেন যে, আমি হজ আদায় করার পর লোকে আমাকে হাজি বলবে আর আমিও নিজেকে হাজি বলে বেড়াবো, তাহলে এই হজের সওয়াব আর আখিরাতের জন্য থাকবে না। বরং দুনিয়াতে আপনাকে হাজি বলে ডাকবে, আপনি হাজি উপাধি পেয়েছেন, ব্যাস এই পর্যন্তই আপনার হজের ফজিলত।

এই জন্য এটি করবেন না। মানুষ যদি আপনাকে বলে যে, হাজি সাহেব কেমন আছেন? এটি মানুষের ব্যাপার। কিন্তু আপনি নিজেকে আলহাজ অমুক এবং আলহাজ বলার জন্যই আমি হজ করতে যাচ্ছি- তাহলে কিন্তু এই হজ আল্লাহর কাছে কবুল হবে না। অথবা সামনে নির্বাচন আসছে পোস্টারে আলহাজ লিখবো, তাহলে সেটি নির্বাচনের পোস্টার পর্যন্তই শেষ। আখিরাতে এর জন্য কোনো সুফল পাওয়া যাবে না এবং আপনি আশাও করবেন না।

হাদিসের মধ্যে তিনজনের কথা এসেছে। একজনকে জিজ্ঞাসা করা হবে, তুমি আমার জন্য কী করেছো? উত্তরে বলবে, শহীদ হয়েছি। তাহলে বলা হবে, তোমাকে বীর বিক্রম উপাধি দুনিয়াতে দেওয়া হয়ে গিয়েছে, সেটা এখন আর নেই।

হাফেজ, ক্বারি সাহেব যারা সুন্দর তেলাওয়াত জানেন তাঁদের বলা হবে আপনি কী করেছেন? উত্তরে বলবে, আমি কোরআন শিক্ষা দিয়েছি। তখন বলা হবে, আপনি তো কোরআন শিক্ষা দিয়েছেন নিজেকে ক্বারি বলার জন্য ইত্যাদি।

সুতরাং, আলহাজ উপাধি পাওয়ার জন্য বা পোস্টারে আলহাজ লেখার উদ্দেশ্য যদি কারো থাকে তাহলে সেটির সওয়াব এখানেই শেষ। এই সওয়াব আর আখিরাতের জন্য থাকবে না। এজন্য আমরা এগুলো করবো না। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন, আমিন।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১২২২ঘ.)