বাংলা একাডেমির বিক্রিতে শীর্ষে রয়েছে অভিধান

বাংলা একাডেমির বিক্রিতে শীর্ষে রয়েছে অভিধান

 

বেচা-বিক্রি যেটাই হোক না কেন প্রতিদিন বিকেলেই অমর একুশের গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গনে রয়েছে বইপ্রেমীদের ভিড়। বিভিন্ন বয়সের মানুষ স্টলে স্টলে বই পছন্দ করতে ভিড় করেন। গ্রন্থমেলা শুরুর কয়েকদিনে তেমন বেচা-বিক্রি না থাকলেও বুধবার বইয়ের কাটতি বেশ ভাল ছিল বলে জানান প্রকাশকরা।

মুক্তিযুদ্ধ ও বিজ্ঞানবিষয়ক বই, রহস্য ও অনুবাদমূলক বই বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, বাংলা একাডেমির প্যাভিলিয়ন থেকে জানান হয়, তাদের বিক্রিতে শীর্ষে রয়েছে বিভিন্ন অভিধান।

গ্রন্থমেলায় গিয়ে দেখা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় মেলার বেশিরভাগই দর্শনার্থীদের এসেছে দল বেঁধে। কেউ কেউ সহপাঠীদের নিয়ে আবার কেউ পরিবার-পরিজন ও প্রিয় মানুষকে নিয়ে। শিশু, কিশোর-কিশোরী এসেছে তাদের মা-বাবার সঙ্গে। তাদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ মুক্তিযুদ্ধ এবং বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর বা সায়েন্স ফিকশন বইয়ে। সে অনুযায়ী আগে থেকে জেনে আসা বইয়ের নাম খুঁজছেন, হাতের কাছে পেলে কিনেও নিচ্ছেন তারা।

কুলছুমা আক্তার অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ভাষার শুদ্ধ প্রকাশের ক্ষেত্রে সঠিক বানানের বিকল্প নেই। পরীক্ষায় বানানের বিষয়টি খুব সুক্ষ্মভাবে দেখা হয়, তা ছাড়া চাকরির বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায়ও বানানের বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাই এবার মেলার আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম এবারের মেলা থেকে বাংলা অভিধানটি কিনে ফেললাম।

রেজাউল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী জানান, আমি বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করি। বানানের সঠিক প্রয়োগ নিয়ে মাঝে মাঝে চিন্তায় পড়ে যাই। তাই অভিধানটি কেনা।

সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী লাবন্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বই পড়তে ভাল লাগে। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ঐতিহ্য তাই এবারও মেলায় এসে মুক্তিযুদ্ধের বই ও ভূতের বই কিনেছি।

নতুন বই : অমর একুশে গ্রন্থমেলার ষষ্ঠ দিন বুধবার নতুন বই এসেছে ১৫২টি। এরমধ্যে গল্প ৩১টি, উপন্যাস ২২টি, প্রবন্ধ ৪টি, কবিতা ৪০টি, গবেষণা ২টি, ছড়া ১০টি, শিশুসাহিত্য ১টি, জীবনী ৪টি, মুক্তিযুদ্ধ ৮টি, নাটক ১টি, বিজ্ঞান ৪টি, ভ্রমণ ৩টি, ইতিহাস ২টি, রাজনীতি ১টি, চিকিৎসা স্বাস্থ্য ২টি, রম্য বা ধাঁধা ১টি, সায়েন্স ফিকশন ৩টি এবং অন্যান্য ১৩টি।

এমজে/