হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ভ্যাকসিন

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ভ্যাকসিন

সিডনি, ২০ জুন (জাস্ট নিউজ) : মানুষের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর জন্য কিংবা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ খান। কিন্তু ভবিষ্যতে হয়তো প্রতিদিন ওষুধ খেতে হবে না।

অষ্ট্রিয়ার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, তারা এমন একটি টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন, যেটি রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা কমাতে সাহায্য করবে। ইতোমধ্যে ইঁদুরের ওপর এর সফল প্রয়োগ হয়েছে।

মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইন এক প্রতিবেদনে জানায়, এই টিকা এখন মানুষের ওপর গবেষণা চালানো হচ্ছে। এজন্য ৭২ স্বেচ্ছাসেবককে এ টিকা প্রয়োগ করে দেখা হচ্ছে, এটি সত্যিই কাজ করছে কী না। এটি সফল হলে কোলেস্টেরল কমানোর জন্য প্রতিদিন নিয়ম করে ওষুধ খেতে হবে না। টিকা দিলেই কোলেস্টেরল কমে আসবে এবং সেটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে।

তবে মানব দেহের জন্য এ টিকা কতটা নিরাপদ এবং কার্যকরী হবে সে বিষয়টি দেখতে আরো কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে। আগামী ছয় বছরের মধ্যে এ টিকা হয়তো বাজারে আসতে পারে।

গবেষকরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এটি বাজারে আসলেও ব্যায়াম পরিহার করা এবং অধিকমাত্রায় চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।

এ টিকা নিলেও স্বাস্থ্যসম্মত জীবন-যাপন করতে হবে। এ টিকা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল তৈরি হওয়া ঠেকাবে।

গবেষকরা ধারনা করছেন, প্রতি বছর একবার এ টিকা নেবার প্রয়োজন হতে পারে।

ইঁদুরের ওপর চালানো গবেষণায় দেখা গেছে, এটি একবার প্রয়োগ করার ফলে বারো মাসে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা ৫০ শতাংশ কমেছে।

কোলেস্টেরল হচ্ছে চর্বির একটি উপাদান। মানবদেহের শরীরের জন্য এটি প্রয়োজন। কিন্তু এলডিএল কোলেস্টেরল বেশি থাকলে সেটি হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি হয়।

কোলেস্টেরল কমানোর জন্য বাজারে ওষুধ থাকলে অনেকে সেটি নিয়ম করে খেতে পারেন না। তাছাড়া সবার ক্ষেত্রে সে ওষুধ সমানভাবে কাজ করে না। সেজন্য গবেষকরা আরেকটি বিকল্প পদ্ধতি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিলেন। এ ভ্যাকসিন বা টিকা আবিষ্কারের চেষ্টায় নেমেছেন তারা।

কিন্তু এ টিকার একটি নেতিবাচক দিক থাকতে পারে। এর ফলে ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

(জাস্ট নিউজ/ওটি/১১৩৬ঘ.)