শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

ফেনীর পথে কবি বেলাল চৌধুরীর মরদেহ

ফেনীর পথে কবি বেলাল চৌধুরীর মরদেহ

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : জাতির পক্ষ থেকে কবি বেলাল চৌধুরীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানালো সর্বস্তরের মানুষ। শহীদ মিনারের পাদদেশে কবির কফিন ফুলে ফুলে ছেয়ে যায়। শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ফেনীর উদ্দেশ্যে নেয়া হচ্ছে কবি বেলাল চৌধুরীর মরদেহ।

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ জোহর দ্বিতীয় জানাজা শেষে কবির মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স ফেনীর পথে রওনা করে। ফেনীর শর্শদীতে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন ষাটের দশকের অন্যতম কবি বেলাল চৌধুরী।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও সংস্থার নেতৃবৃন্দ এবং কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, সংস্কৃতিসেবীসহ বিভিন্ন অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্যদিয়ে কবি বেলাল চৌধুরীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। অনুষ্ঠানে কবির দুই ছেলেসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে এই শ্রদ্ধানুষ্ঠান চলে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

ষাট দশকের বিশিষ্ট কবি, ভাষা সংগ্রামী, সাংবাদিক, সম্পাদক ও অনুবাদক বেলাল চৌধুরী মঙ্গলবার ঢাকার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। বাংলাদেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি, অসাম্প্রদায়িক চেতনার সংগ্রামে এই কবি দীর্ঘকাল ধরে নিরলসভাবে কাজ করেন। তিনি ঢাকা ও কলকাতায় সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।

তার উল্লেখযোগ্য কবিতাবইয়ের মধ্যে আছে ‘নিষাদ প্রদেশে’, ‘আত্মপ্রতিকৃতি’, ‘স্থিরজীবন ও নিসর্গ’, ‘স্বপ্নবন্দী’, ‘সেলাই করা ছায়া’, ‘কবিতার কমলবনে’, ‘যাবজ্জীবন সশ্রম উল্লাসে’, ‘বত্রিশ নম্বর’। সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৪ সালে তিনি একুশে পদক পান। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারও। ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী গ্রামে ১৯৩৮ সালের ১২ নভেম্বর তার জন্ম।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯৪৭ঘ.)