কবি মোস্তফা মীর আর নেই

কবি মোস্তফা মীর আর নেই

ঢাকা, ৩ মে (জাস্ট নিউজ) : কবি, ঔপন্যাসিক ও অনুবাদক মোস্তফা মীর আর নেই। বুধবার রাত ২টা ১০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি... রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মোস্তফা মীরের মামাতো ভাই শামীম খান গণমাধ্যমকে বলেন, তার দু'টি কিডনিই অকেজো হয়ে গিয়েছিলো। গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস করার সময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ওই দিন বিকাল থেকে তাকে হাসপাতালটির নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরে বুধবার রাতে চিকিৎসকরা লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শামীম খান জানান, বৃহস্পতিবার সকালে মোস্তফা মীরের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার রায়েরবাজরের বাসভবনে। এরপর রায়েরবাজার প্রগতি সংঘ মসজিদে বাদ যোহর জানাজা শেষে রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

মোস্তফা মীরের জন্ম ১৯৫২ সালে রাজবাড়ি জেলার বড়লক্ষ্মীপুর গ্রামে। ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে মাস্টার্স করেন তিনি। কর্মজীবনে একাধিকবার পেশা বদল করেন। সর্বশেষ একটি বেসরকারি সংস্থায় ১৮ বছর যুক্ত ছিলেন সম্পাদনার কাজে।

আজন্ম উদাসীন ও প্রচারবিমুখ এই কবির কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা মাত্র পাঁচটি। নব্বই দশকের শুরুতে এসে লেখেন উপন্যাস 'দানববংশ'। এ উপন্যাসের বিরুদ্ধে মৌলবাদীরা মামলা ঠুকলেও, তা ধোপে টেকেনি। এরপর আরও একে একে 'ঈশ্বরের ঘ্রাণ', 'কুকুরকুঞ্জ' ও 'তোমাকে চাই'- এই তিনটি উপন্যাস লেখেন।

নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময় এসে অনুবাদকর্মে হাত দেন মোস্তফা মীর। গদ্য-পদ্য মিলিলে তার অনুবাদ গ্রন্থের সংখ্যা ত্রিশের অধিক। তিনি গত দেড় দশক ধরে যকৃতের অসুখে ভুগছিলেন। তার আলোচিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে 'মিশরীয় পুরাণ' ও 'আদম ইতিহাসের প্রথম চরিত্র'।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯৫৬ঘ.)