দেশবাসীকে সজাগ, ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান তারেক রহমানের

‘২১ আগস্টের জঘন্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফরমায়েসি রায় দিবেননা’

‘২১ আগস্টের জঘন্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফরমায়েসি রায় দিবেননা’

ঢাকা, ৯ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : ২১ আগস্ট গ্রেনেড হত্যা মামলার রায়ে আদালতকে পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার আহবান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সমগ্র জাতি প্রত্যাশা করে ন্যায় বিচার। জনগণ প্রত্যাশা করে এই মামলায় কোনো ফরমায়েশি রায় ঘোষিত হবে না।

এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডে বিএনপি কোনোভাবেই জড়িত নয় উল্লেখ নেতা-কর্মীসহ জনগণের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখুন। কারো পাতানো ফাঁদে পা দিবেন না। আমাদের ঐক্য বিনষ্ট করতে এবং আবার আমাদের বিশ্বাসে চিড় ধরাতে নানা রকম ফাঁদ পাতা হয়েছে। তাই আমাদেরকে সাহস এবং সতর্কতার সাথে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।

মঙ্গলবার (লন্ডনের স্থানীয় সময়) সকাল ৮টায় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ সব কথা বলেন।

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেয়া তারেক রহমানের বক্তব্য জাস্ট নিউজের পাঠকদের জন্য লিখিত আকারে নিচে দেয়া হলো-

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আসসালামু আলাইকুম। প্রথমেই আমি ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি দেশের সকল গণতন্ত্রকামী জনগণ এবং আমার দলের সকল পর্যায়ের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক শুভাকাঙ্খীদের। যারা ক্ষমতাসীনদের জেল-জুলুম,হয়রানি এবং গুম-খুন, অপহরণের ভয় উপেক্ষা করেও একটি সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার সমৃদ্ধ রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অবিচল রয়েছেন। বিশেষ করে সারা দেশের তৃণমূল পর্যায়ের জনগনের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা। যারা প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশের প্রাণশক্তি। আমি যখনই সুযোগ পেয়েছি তৃণমূলের মানুষের সঙ্গে মিশেছি, কথা বলেছি, তাদের কাছে ছুটে গিয়েছি।

গণতন্ত্রকামী প্রিয় দেশবাসী, বর্তমানে রাষ্ট্র ও সমাজে ন্যায়বিচার নেই বলেই ৮ মাসের বেশি সময় ধরে কারাবন্দী দেশনেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। কি কারণে তিনি মাসের পর মাস কারাগারে। যিনি সম্মান দেখিয়ে দিনের পর দিন আদালতে হাজির হয়েছেন। বিচারকদের সীমাবদ্ধতা জানা সত্ত্বেও তিনি বিচার বিভাগের মর্যাদাকে খাটো হতে দেননি। তবে জনগণ বিশ্বাস করে তার প্রতি বিচারের নামে করা হয়েছে অবিচার। যে মামলায় রায়ের দোহাই দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে সেই মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। তাহলে এখন কোন মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে?

বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাস দীর্ঘ করতে যেভাবে আদালতকে ব্যবহার করে ডজন ডজন মামলা হাজির করে তাকে আটক করে রাখা হয়েছে এতে শেখ হাসিনার প্রতিহিংসা চরিতার্থ হলেও বিচার বিভাগের মর্যাদা মোটেও বাড়ছে না। আইনের শাসন প্রতিফলিত হচ্ছে না বরং প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে প্রতিহিংসার রাজনীতি। তবে, আমি আমার মা বেগম খালেদা জিয়া এবং আমার দল বিএনপি এবং বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। অতীতেও করিনি, এখনো না এবং ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও না।

প্রিয় দেশবাসী, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’র মৌলিক দর্শন হচ্ছে দেশের সকল মত ও পথের মানুষকে সাথে নিয়ে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা। জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রতিটি কর্মীর জন্য গর্বের বিষয় হচ্ছে তার অনুসৃত অর্থনৈতিক দর্শনে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ পৌঁছেছিল একটি সম্মানজনক অবস্থানে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও জাতীয়তাবাদী দর্শনকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে একটি গোষ্ঠী জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লাগাতার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে সেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল। তবে ষড়যন্ত্রকারীদের সকল চক্রান্ত মোকাবেলা করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী দর্শনের রাজনীতি সঠিক পথ খুঁজে পেয়েছিল। জনগণের সমর্থন পেয়ে সাফল্য ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। ফলে ষড়যন্ত্রকারীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন আমার মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ষড়যন্ত্রকারীরা আমাকেও তাদের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের টার্গেটে পরিণত করেছে। তারা এখন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী মানুষকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত। কখনো লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে, কখনো ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির মতো প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর থেকে গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং এবং তার পরিবারের ভাবমূর্তি নস্যাৎ করতে অপচেষ্টায় লিপ্ত। দেশ এবং জনগণের জন্য কাজ করতে গিয়ে আমার পিতা স্বাীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জীবন দিয়েছিলেন। আর মা প্রচণ্ড শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও স্বৈরাচারের কারাগারে বন্দি।

প্রিয় দেশবাসী, বিনীতভাবে একটি কথা আপনাদের সামনে বলতে চাই। আমার মা-বাবার মতো আমিও দেশ, জাতি এবং মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত রেখেছি। আপনারা জানেন, রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী বিএনপিকে সুসংগঠিত করার জন্য সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের কাছে ছুটে গিয়েছি। কাজ করতে গিয়ে দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী এবং শুভাকাঙ্খীদের আকণ্ঠ সাহায্য ও সহযোগিতা পেয়েছি। আপনারা জানেন, বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন এবং জাতীয়তাবাদী আদর্শের রাজনীতিকে চিরতরে উচ্ছেদ এবং মুছে ফেলার সর্বশেষ অংশ হিসাবে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আমাকে এবং তৎকালীন সরকারের বেশকিছু উর্দ্ধতন কর্মকর্তা এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীর প্রধানকেও জড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র পক্ষ থেকে আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই আমাদের দল কখনোই এভাবে ঘৃণ্য হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা। এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে তৎকালীন সরকার কিংবা বিএনপি’র কেউ জড়িত নয়। কেন জড়িত নয় এর অনেকগুলো সুনির্দিষ্ট কারণ এবং প্রমাণ রয়েছে। আমি এখানে কয়েকটি কারণ সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে চাই।

দেশবাসী অবগত আছেন, ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট পুলিশ প্রশাসন রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে আওয়ামী লীগকে জনসভার অনুমতি দেয়। জনসভার দিন এবং তার আগের দিন পুলিশ প্রশাসন যথানিয়মে মুক্তাঙ্গনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিল। ২১ আগস্ট মুক্তাঙ্গনে আওয়ামী লীগের জনসভার খবর সে সময়ের সকল পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। এমনকি ২১ আগস্ট মুক্তাঙ্গনে সমাবেশে লোকজনও আসতে শুরু করেছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই কে কেন কার আদেশে কি উদ্দেশ্যে পুলিশ প্রশাসনকে না জানিয়ে মুক্তাঙ্গন থেকে সমাবেশের স্থান হঠাৎ করে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। কেনো সরিয়ে নেয়া হয়েছিল? শেষ মুহূর্তে সমাবেশের স্থান পরিবর্তনকে কে কার পরামর্শে করেছিল? তা আজ পর্যন্ত জনগণকে জানতে দেয়া হয়নি, জনগণকে জানানো হয়নি। জনগণ তা জানতে চায়।

এ মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের জবানবন্দি উদ্ধৃত করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেই সকল খবর থেকে আমরা দেখতে পাই এবং জানতে পাই আওয়ামী লীগের জনসভায় হামলা পরিকল্পনা সাজাতে মুফতি হান্নানসহ কিছু কিছু জঙ্গি সংগঠনের নেতারা আগে থেকেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিল। তাহলে কেমন করে ওইসব জঙ্গি সংগঠনের লোকেরা আগেই জেনেছিল সমাবেশ মুক্তাঙ্গনে নয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে।

প্রিয় দেশবাসী, আরো একটি বিষয়ে আমি আপনাদের সামনে দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, এই হামলার সঙ্গে আমাকে এবং বিএনপিকে জড়ানো সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক। কারণ, ওই জনসভার হামলা থেকে বিএনপি’র কিছুই পাওয়ার নেই। কারণ, বিএনপি তখন ক্ষমতায়। আওয়ামী লীগের মতো একটি দলের সমাবেশে হামলা চালিয়ে বিএনপি কেন নিজেই নিজের সরকারকে অস্থিতিশীল করবে?

প্রিয় দেশবাসী, বর্তমান সরকার আইন আদালতকে ব্যবহার করে যাই করুক বা যাই বলুক তথ্য উপাত্ত এবং বাস্তবতা প্রমাণ করে এই জঘন্য হত্যাকান্ডের সঙ্গে বিএনপি’র কোনো পর্যায়ের কেউ জড়িত নয়। আপনারা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জেনেছেন এ মামলার সাথে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা বিভিন্ন সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তিত হওয়ার সাথে সাথে সাথে সমানভাবে তদন্ত প্রতিবেদন পরিবর্তিত হয়েছে। ষড়যন্ত্রের পথ ধরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে পুলিশের চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্ত একজনকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে ২১ আগস্ট মামলার তদন্ত দায়িত্ব প্রদান করে। তাকে দিয়েই এই মামলার বিচার চলা অবস্থায় পুনরায় তদন্ত করানো হয়। তিনি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে নতুন করে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে এবং সেখানে জড়ানো হয় আমার নাম।

প্রিয় দেশবাসী, শুধুমাত্র একজন ব্যক্তিকে ১০০ দিনের বেশি সময় রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে তার মুখ থেকে বের করা হয় আমার নাম। পরবর্তীতে ঐ ব্যক্তি আদালতে গিয়ে নিজেই তার বক্তব্য প্রত্যাহারের আবেদন করতে আদালতকে জানায় তাকে নির্মম নির্যাতন করে তার মুখ দিয়ে আমার নাম বলানো হয়েছে।

আপনারা আরো আশ্চর্য হবেন, যেই ব্যক্তির মুখ থেকে আমার নাম বের করে আমাকে একুশে আগস্ট মামলায় জড়ানো হয়েছে ইতিমধ্যে অন্য একটি মামলায় সেই ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। এটি কি আপনাদের কাছে কোন একটি স্বাভাবিক ঘটনা মনে হয়?

গণতন্ত্রকামী প্রিয় দেশবাসী, এমন একটি পরিস্থিতিতে এই মামলার রায় ঘোষণা দেওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আদালত রায় দেয়ার তারিখ নির্ধারণ করলেও এর আগেই শেখ হাসিনা এবং তার দলের নেতা-কর্মীরা মামলার রায় দিয়েছে। হয়তো দেখা যাবে রায় ঘোষণার দিন বিচারক আওয়ামী লীগ সরকারের ঘোষণা করা পূর্বনির্ধারিত রায়টি পড়ছেন বিচারক। এমন ধারণা করার কারণ হচ্ছে- আমার মা বেগম খালেদা জিয়ার মামলার বিচারের নামে প্রহসন থেকে। অনেক আগেই এই সরকারের নেতাকর্মীরা সেই মিথ্যা মামলার রায় ঘোষণা করে দিয়েছে। আর নির্দিষ্ট বিচারক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঘোষিত রায় যথানিয়মে পড়ে দিয়েছে।

প্রিয় দেশবাসী, সাম্প্রতিক সময় আমরা দেখেছি সাবেক প্রধান বিচারপতির রায় সরকারের পছন্দ না হওয়ায় তাকে জোর করে দেশ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আমার বিরুদ্ধে একটি মামলার রায় সরকারের মনোপুত না হওয়ায় ওই বিচারককে দেশ ছাড়া করা হয়েছে।

সুতরাং অতীতের বাস্তবতায় বলা যায় ২১ আগস্ট মামলার রায়ের দিন আগের মতোই আরেকটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায় শুনবে জনগণ। যেটাকে আমরা বলতে পারি ফরমায়েশি রায়। এই রায়কে পুঁজি করে বর্তমান ব্যাংক ডাকাত সরকার হয়তো আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে আমার বিরুদ্ধে তাদের চলমান অপপ্রচারের মাত্রা আরেকটু বাড়িয়ে দিবে।

প্রিয় দেশবাসী এবং আমার দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মী ও ভাই-বোনেরা। চলার পথে আমার আস্থা বিশ্বাস আল্লাহর উপরে। আমার বাবা-মা, আমার আদর্শ এবং দেশের জনগণ আমার রাজনৈতিক শক্তি। দেশ এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করতে গিয়ে আমার বাবা জীবন দিয়েছেন এবং আমার মা এই বয়সেও কারা নির্যাতন ভোগ করছেন। আমিও দেশ এবং জনগণের স্বার্থে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তুত।

প্রিয় দেশবাসী, দেশ এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করতে গেলে বিপদ আসবেই। সেটি জেনেই আমি আমার দেশ এবং জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেছি। জীবনের ভয় করলে আমার বাবা স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে পারতেন না।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন থেকে আমার মা সরে গেলে আজকে আমার মাকে কারা নির্যাতন ভোগ করতে হতো না। সুতরাং সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই ইনশাল্লাহ আমি এগিয়ে যাব। আমার দল এগিয়ে যাবে। এগিয়ে যাবে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী শক্তি। এগিয়ে যাবে দেশ এবং দেশের জনগণ।

একুশে আগস্ট মামলার রায়কে সামনে রেখে বলতে চাই, সমগ্র জাতি প্রত্যাশা করেন ন্যায় বিচার। জনগণ প্রত্যাশা করে এই মামলায় কোনো ফরমায়েশি রায় ঘোষিত হবে না। আমার দলের সকল পর্যায়ের সকল নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের কাছে আমার আহ্বান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখুন। এই সংকটময় মুহুর্ত ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করুন। বিচক্ষণতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিন। কারো পাতানো ফাঁদে পা দিবেন না। আমাদের ঐক্য বিনষ্ট বিনষ্ট করতে এবং আবার আমাদের বিশ্বাসে চিড় ধরাতে নানা রকম ফাঁদ পাতা হয়েছে। তাই আমাদেরকে সাহস এবং সতর্কতার সাথে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।

আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে সকল শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে সফল করি। ইনশাল্লাহ বিজয় আমাদের হবেই। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জিন্দাবাদ।

(জাস্ট নিউজ/জিএস/এমজে/এমআই/১৫১০ঘ.)