দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তারেক রহমান

অপশক্তির দাস নাকি মুক্তির ইতিহাস, সিদ্ধান্ত নিন ৩০ ডিসেম্বর

অপশক্তির দাস নাকি মুক্তির ইতিহাস, সিদ্ধান্ত নিন ৩০ ডিসেম্বর

লন্ডন, ২৮ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে চলমান স্বৈরাসন থেকে জনগণের মুক্তির নতুন আরকেটি মুক্তিযুদ্ধ উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মজলুম জননেতা তারেক রহমান বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বরের ব্যালট যুদ্ধে জনগণকেই অবশ্যই জিততে হবে। এদিনটি একটি ইতিহাস রচনার দিন। এ দিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে অপশক্তির দাস নাকি মুক্তির ইতিহাস।

৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার লন্ডন থেকে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে এ আহবান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

ধানের শীষকে জাতীয় মুক্তি আর ঐক্যের প্রতীক উল্লেখ করে তারেক রহমান ভোটারদেরকে সব ভয়-ভীতি আর হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হবার আহবান জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের নৈতিক পরাজয় ঘটেছে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশের এবং বিদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ দেখেছেন এবং দেখছেন এ আন্দোলনে বিরোধীদলের কাছে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের নৈতিক পরাজয় ঘটেছে। জনগণের সামনে বের হয়ে এসেছে তাদের কুৎসিত, কদাকার, নির্লজ্জ এবং স্বৈরাচারি চেহারা। দলীয় সন্ত্রাসী এবং প্রশাসনের অবৈধ সুবিধাভোগী একটি অংশের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ জনগণের বিরুদ্ধে এবং ভোটারদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফন্টসহ বিরোধীদলগুলো চায় ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসুক। আর আওয়ামী লীগ চায় সারাদেশে এমন একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে যাতে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসতে না পারেন।

নির্বাচনকে ঘিরে দেশে শাসকগোষ্ঠী বিরোধীদলগুলোর উপর সন্ত্রাস চালাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনকে রেখে দেশে এখন যা চলছে তা স্রেফ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা নয়। এটি শুধুমাত্র স্রেফ সন্ত্রাস।

"একটি কথা আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই- সন্ত্রাস করে মানুষকে কিছুদিন হয়তো দাবিয়ে রাখা যায়। কিন্তু সন্ত্রাসীদের চূড়ান্ত বিজয় হয়না। বিজয় হয় জনগণের।"

নির্বাচনে নিরপেক্ষ আচরণ বজায় রাখার জন্য প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতি আহবান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সুবিধাভোগী একটি অংশ জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। স্বৈরাশাসকের দেশ বিরোধী পরিকল্পনায় আপনারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারেন না। আপনাদের উপর দেশবাসীর এখনো আস্থা আছে, আশা আছে। জনগণ বিশ্বাস করে আপনারা বিবেক বর্জিত কাজ করবেন না। দেশের জনগণের উপর অত্যাচারের- অন্যায় সরকারি নির্দেশ মানতে আপনারা বাধ্য নন। আপনারা এ দেশেরি সন্তান। কারো স্বজন, কারো বন্ধু, কারো প্রতিবেশি। তাহলে কেনাে নিজের ভাইয়ের দিকে অস্ত্র তাক করছেন? নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখুন।

জনগণের বিপক্ষে আওয়ামী লীগের চলমান দুঃশাসনের জন্য দলটির প্রতি প্রশ্ন রেখে তারেক রহমান বলেন,"আমি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই- আপনারা এ দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করছেন। অথচ হীন রাজনৈতিক স্বার্থে কাউকে কিছু বলতে দিচ্ছেন না, লিখতে দিচ্ছেন না, বের হতে দিচ্ছেন না। প্রতিটি পেশা, ধর্ম আর বয়সের মানুষকে করছেন আঘাত, আক্রমণ আর নির্যাতন। সমাজের ঘৃণা আর বিতৃষ্ণা ছাড়া আপনারা আর কী অর্জন করেছেন? এভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখাই কী আপনাদের গণতান্ত্রিক চর্চার বৈশিষ্ট্য? এটাই কী আপনাদের রাজনৈতিক আদর্শ? এ কেমন রাজনৈতিক আদর্শ?"

জনগণের শক্তির উপর বিশ্বাস রেখে বিএনপি এবং ঐক‌্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আগেই বলেছি, ক্ষমতালোভী শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তারপরও বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট জনগণের শক্তির উপর বিশ্বাস রেখে আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে যাতে করে আওয়ামী লীগ একতরফাভাবে নির্বাচন করার সুযোগ না পায়।

তিনি বলেন, বিরোধীদলের বহু প্রার্থীকে, বহু নেতা-কর্মীকে করা হয়েছে গুলি, শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে তাদের অনেককে। নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়া হচ্ছে অনবরত। গায়েবি এবং মিথ্যা মামলায় নেতা-কর্মীদের হয়রানি বন্ধ করা হয়নি। তার কারণ একটাই বিরোধীদল বিনা বাধায় প্রচারণার সুযোগ পেলে, জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারলে তারা অবশ্যই তাদের পছন্দের প্রার্থীকেই নির্বাচিত করবে।

সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন পরিবেশ তৈরির ব্যর্থতার দিকে ইঙ্গিত করে তারেক রহমান বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক প্রহর বাকী, জনগণ উৎসাহ, উদ্দীপনা নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবেন, নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন এমনটিই হওয়ার কথা। কিন্তু দেশে নির্বাচনের পরিবেশ কতটুকু বিদ্যমান তা পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে। নির্বাচন আজ পরিণত হয়েছে নির্যাতনে, প্রহসনে।

আসন্ন নির্বাচনকে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, শত উসকানি আর অপতৎপরতার মুখেও বিরোধী দল জেল-জুলুম সহ্য করে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পন্থায় ভোটের লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে। কারো পাতা ফাঁদে পা দেয়নি। এভাবেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দােলনকে চূড়ান্ত সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিতে চায় বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট। কিন্তু জনগণ যদি বৈধ উপায়ে নিজ দেশে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার হারিয়ে ফেলে- সেটি কী কারো জন্য মঙ্গলজনক হতে পারে? এ কারণেই আমরা বলেছি আসন্ন নির্বাচন আমাদের জন্য আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ।

তারেক রহমান বলেন, "১৯৭১ সালে এদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য আর ৩০ ডিসেম্বরের ভোটযুদ্ধ তথা মুক্তিযুদ্ধটা হলো মাতৃভূমিকে নিরাপদ করার জন্য। এ যুদ্ধের ময়দান সারাদেশের ৪০,১৯৯ টি ভোটকেন্দ্র। এ যুদ্ধে আমাদের অস্ত্র ব্যালট। এ ব্যালট যুদ্ধে জনগণকে অবশ্যই জিততে হবে। এ যুদ্ধে গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি হেরে গেলে বাংলাদেশ হেরে যাবে। স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণকে পরাধীনতার গ্লানি বয়ে বেড়াতে হবে। তাই ৩০ ডিসেম্বর যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে তার প্রধান দুটি পক্ষ কেবল ধানের শীষ আর নৌকা নয়, বিএনপি আর ঐক্যফ্রন্ট নয়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আর মহাজোট নয়। বরং দুটি পক্ষ হলো গণতন্ত্র বনাম স্বৈরতন্ত্র, স্বাধীনতা বনাম পরাধীনতা, সাড়ে ১০ কোটি ভোটার বনাম একটি জনবিচ্ছিন্ন দল।"

তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশের মুক্তির প্রতীক ধানের শীষ, বাংলাদেশের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক ধানের শীষ, বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতীক ধানের শীষ।

দেশের গণতন্ত্রপ্রিয় ১৮ কোটি মানুষ দুঃশাসনে বন্দি উল্লেখ করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, "আমার দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে আমি বলবো ইতিহাস এবং রাজনীতির পালাবদল আমাদেরকে আজ চরম সন্ধিক্ষণে নিয়ে এসেছে। সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী থেকে আপনারা পরিণত হয়েছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার সেনানীতে। আমরা শুধু নির্বাচনের জয়ের জন্য লড়ছি না, লড়ছি একটি অর্থবহ পরিবর্তনের জন্য, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, বন্দি খালেদা জিয়া এবং গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য।"

তিনি বলেন, গত দশ মাস ধরে শুধু একা খালেদা জিয়াই বন্দি নন, বন্দি এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় ১৮ কোটি মানুষ।

ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট দেবার আহবান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, "আমি আগেই বলেছি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জনগণের নৈতিক বিজয় অর্জিত হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর হবে সেই বিজয়ের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির দিন। এদিন জনগণ সকল হুমকি, ধমকি, ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে দলে দলে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করবেন। কারণ বাংলাদেশের জনগণ দুর্বার ও সাহসী। যার প্রমাণ আপনারা দিয়েছেন বার বার, বহুবার, প্রতিবার। আমাদের মনে রাখতে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটার কয়েক হাজার। আর ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকের সংখ্যা হাতে গুণা কয়েকজন। এর মধ্যে সবাই সরকারের তাবেদার নন।"

ভোট জনগণের আমানত উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমানত যেভাবে রক্ষা করা হয়, ভোটের আমানতকে সেভাবেই রক্ষা করতে হবে। ভোট প্রদানের পাশাপাশি ভোটের দিন, ভোটের আগের দিন স্ব-স্ব এলাকার ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব সকল ভোটার এবং এলাকাবাসীর।

"মনে রাখবেন আপনারা যত বেশি সংখ্যক মানুষ দল বেধে, ঐক্যবদ্ধভাবে ঘর থেকে বেরিয়ে আসবেন, দুর্বৃত্তরা তত বেশি পিছিয়ে যাবে। হাজারো ভোটারের ভীড়ে অবৈধ সরকারের তাবেদররা কোনোভাবেই আপনাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে পারবেনা। আত্মবিশ্বাস রাখুন। সাড়ে ১০ কোটি ভোটারের এই শক্তিকে কেউ, কোনোকিছু, কোনোভাবে রুখতে পারবেনা।"

ভোটের ফল নিয়ে ঘরে ফেরার আহবান জানিয়ে তারেক রহমান আরো বলেন, "প্রিয় ভোটারবৃন্দ। আপনাদেরকে অবশ্যই সকাল সকাল ভোটকেন্দ্রে অবস্থিত হয়ে নিজের ভোট প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। এবং ভোট দিয়ে ভোট কেন্দ্র ত্যাগ করবেন না। ভোটের ফল বুঝে নিয়ে বিজয়ের বেশে তবেই ঘরে ফিরবেন। আপনাদের প্রতি আমার আহবান কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে, নিজেদের শক্তিতে আস্থা রেখে ধানের শীষে ভোট দিন। আপনাদের একেকটি ভোট নিশ্চিত করতে পারে নিরাপদ বাংলাদেশ, শান্তির বাংলাদেশ। ৩০ ডিসেম্বর উঠবে গণতন্ত্রের নতুন সূর্য। বিজয় হবে জনগণের। ইনশাআল্লাহ।"

গণতন্ত্র সুরক্ষায় দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে মজলুম এই জননেতা বলেন, "প্রিয় দেশবাসী লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে এসেছে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস। বিজয়ের এই মাসে সেই শহীদদের প্রতি আমি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। সম্মান, কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশের জনগণকে। যারা গণতন্ত্র ভালোবাসেন, গণতন্ত্রের জন্য সহ্য করেছেন নির্যাতন, যারা আত্মত্যাগে উজ্জ্বল করেছেন দেশের ইতিহাস। ৩০ ডিসেম্বর আরেকটি ইতিহাস রচনার দিন। এ দিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে অপশক্তির দাস নাকি মুক্তির ইতিহাস।"

এদেশ কোনো নির্দিষ্ট পরিবারের নয় মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে সাড়ে দশ কোটি ভোটারের শক্তিতে বিএনপি জোট তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শক্তিমান। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তরা বিভাজনের এক ধ্বংসাত্মক রাজনীতি তৈরি করেছে। তারা নির্যাতক এবং শোষক হিসেবে জনগণের উপর দমন, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের স্টীম রোলার চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, লাখো-কোটি নেতা-কর্মী নিয়ে আমরা আছি দেশ ও জনগণের সঙ্গে। গণতন্ত্রের প্রহরী হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি-জগণই সকল রাজনৈতিক শক্তির উৎস। সরকার হবে জনগণের সেবক ও রক্ষক। এদেশ জনগণের কোনো নির্দিষ্ট পরিবার, গোষ্ঠী বা দলের নয়।

তারেক রহমান বলেন, "আজ বাংলাদেশে দুটি বিপরীতমুখি স্রোত তৈরি হয়েছে। একদিকে ক্ষমতাসীন অপশক্তি আর তাদের নির্লজ্জ অনুসারীরা, অপরদিকে গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, যাদেরকে মৌলিক স্বাধীনতা দিতে অস্বীকার করছে আওয়ামী লীগ, করছে অপমান, অবজ্ঞা আর অবহেলা। রাষ্ট্রের প্রকৃত মালিক হবার পরেও যাদেরকে শোষিত রাজ্যের প্রজার মতো বঞ্চিত করা হচ্ছে।"

(জাস্ট নিউজ/জিএস/একে/০০০৫ঘ.)