সমতা ও ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার থেরেসার

ক্যামেরন আপউ, ইন থেরেসা

ক্যামেরন আপউ, ইন থেরেসা

ওয়েস্টমিনিস্টার থেকে মুশফিকুল ফজল আনসারী, ১৩ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : ব্রেক্সিট ভোটে হেরে যাওয়ার কারণে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলেন বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর সরকার প্রধান যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী  ডেভিড ক্যামেরন।

বুধবার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়) প্রথা অনুযায়ী বৃটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সাথে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ করে পদত্যাগ পত্র জমা দেন ডেভিড ক্যামেরন।

এর কিছুক্ষণ পরেই রানীর বাসভবন বাকিংহাম প্যালেসে সাক্ষাৎ করেন নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। সাক্ষাৎকালে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থেরেসা মে’কে নিয়োগ দিয়ে সরকার গঠনের আহ্বান জানান রানী এলিজাবেথ।

রানীর সাথে আধাঘণ্টারও কম সময় সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত সরকারি গাড়িতে করে সরাসরি চলে যান প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে। প্রবেশের প্রাক্কালে বাংলাদেশ সময় রাত ১১টার কিছু সময় পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম আনুষ্ঠানিক বক্তৃতায় সমতা ও ন্যায়বিচার সমুন্নত রেখে গ্রেট বৃটেনকে সামনে এগিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন থেরেসা মে।

তিনি বলেন, কনজারভেটিভ পার্টির নাম কেবল কনজারভেটিভ নয়- প্রকৃত নাম কনজারভেটিভ ইউনিউনিস্ট। নামের সাথে সঙ্গতি রেখে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলায়ই হবে মূল লক্ষ্য। ডেভিড ক্যামেরনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সকল শ্রেণী, পেশা, বর্ন, গোত্র নির্বিশেষে সকলের উপযোগী একটি আধুনিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেন নব নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।

এর আগে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে পরিবারসহ বিদায় নেন ডেভিড ক্যামেরন। শেষবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত গাড়িতে চড়ে বিদায়ী সাক্ষাতের জন্য পরিবারসহ বাকিংহাম প্যালেসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তিনি।

ডাউনিং স্ট্রিট ত্যাগের প্রাক্কালে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বিদায়ী বক্তৃতাকালে ডেভিড ক্যামেরন বলেন, বৃটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন ছিলো আমার জন্য সবচেয়ে বড় সম্মানের। তিনি তার দায়িত্বপালনকালে সহযোগিতার জন্য বৃটেনের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯০০ঘ.)