হামলা থেকে রেহাই পাননি শহিদুল আলমও

হামলা থেকে রেহাই পাননি শহিদুল আলমও

ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ): একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের সহিংসতা আর হামলা থেকে রেহাই মেলেনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফটোসাংবাদিক শহিদুল আলমেরও। পরিচয় জানার পরও তার উপর হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

রবিবার সকালে ধানমণ্ডি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে অবস্থিত ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

শহিদুল আলমের নিজস্ব ওয়েবসাইট শহিদুল নিউজ ডটকমে হামলার বিবরণ তুলে ধরা হয়।

হামলার বর্ণনা দিয়ে বলা হয়, শহিদুল আলম ও লেখিকা রাহনুমা আহমেদসহ দৃক-এর আলোকচিত্রী পারভেজ আহমেদ, সুমন পাল ও মাহতাব উদ্দীন আহমেদ সকাল সোয়া ৮টার দিকে ধানমণ্ডি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে যান। সস্ত্রীক ভোট দেয়ার পর শহিদুল ভোটকেন্দ্রের ছবি নিচ্ছিলেন। নির্বাচন কমিশন থেকে দেয়া তার অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দৃশ্যমান ছিল। এ সময় কয়েকজন তার দিকে এগিয়ে এসে ছবি তোলা বন্ধ করতে বলেন।

শহিদুল আলম ছবি তুলতে নিষেধ করার কর্তৃত্ব নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তাদের একজন জানান, তিনি প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার গলায় নৌকা প্রতীকের লেমিনেটিং করা কার্ড ঝুলছিল। তবে, নির্বাচন কমিশনের দেয়া কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে পারেন নি তিনি। জবাবে শহিদুল নির্বাচন কমিশন থেকে দেয়া তার পরিচয়পত্র দেখালে তা অগ্রাহ্য করে তারা মারমুখী হয়ে ওঠে। ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে তাকে ধাক্কা দিতে থাকে। পরে অন্য আলোকচিত্রীরা উপস্থিত হয়ে এর প্রতিবাদ জানালে তারা আরো মারমুখী হয়ে ওঠে। ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। হামলাকারীদের একজন আলোকচিত্রী পারভেজ আহমেদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এ সময় ধাক্কাধাক্কিতে শহিদুল আলম পিঠে আঘাত পান। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয় নি। তবে, সেখানে কোনো সেনাসদস্য ছিল না।

পরে এ হামলার স্থির ও ভিডিওচিত্র আপলোড করতে গিয়ে শহিদুল আলম বুঝতে পারেন, তার ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি হ্যাক করা হয়েছে। এখন তার ওই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর মেসেজ পাঠানো হচ্ছে।

 

(জাস্ট নিউজ/জিএস/০০৪৬ঘ)