সরকার সমর্থক সাংবাদিক বুলবুলেকে নিয়ে বিবিসির বাংলার প্রতিবেদন

ফেসবুকে কিভাবে ছড়িয়ে পড়ে সাংবাদিক ও পুলিশের বচসার ভিডিও

ফেসবুকে কিভাবে ছড়িয়ে পড়ে সাংবাদিক ও পুলিশের বচসার ভিডিও

ঢাকা, ২৪ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : বাংলাদেশে সড়কের উল্টো পাশ দিয়ে একজন সাংবাদিকের গাড়ি চালানোর কারণে তাদেরকে থামানোর পর পুলিশের সঙ্গে বচসা নিয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

এর মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ প্রধান শহরগুলোতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের উল্টো পথে গাড়ি চালানোর বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে।

আলোচিত ভিডিওটি শুক্রবার রাতে ঢাকার বেইলি রোড থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে করা একটি লাইভ ভিডিওর অংশ।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, উল্টোপথে গাড়ি চালিয়ে আসার জন্য বেসরকারি একটি টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলের কাছে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইছে পুলিশ।

কিন্তু তিনি সেটি দিতে অস্বীকার করছেন। সেই সঙ্গে তিনি বলছেন, পুলিশের মহাপরিদর্শকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তার কথা হয়েছে।

এই ভিডিওটি করেছেন, মুনজারিন ইশতিয়াক নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী।

ঘটনার পর পুলিশ তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে সব ভিডিও মুছে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ফেসবুকে সরাসরি লাইভ হওয়ায় ভিডিওটি থেকে গেছে, যা পরে ভাইরাল হয়ে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে।

কিভাবে তিনি ভিডিওটি করেছিলেন এই প্রশ্নের জবাবে মি. ইশতিয়াক বলেছেন, বেইলি রোডে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। আমি উনাকে প্রথম দেখি শান্তিনগর সিগন্যালে। ওখানে উনাদের এবং পুলিশের মধ্যে কথাবার্তা চলছিল। আমি পুলিশের পিছন পিছন গেছি দেখার জন্য যে এখন ওরা কি করে। কারণ ওই ভদ্রলোককে দেখে বোঝা যাচ্ছিল উনি অনেক প্রভাবশালী কেউ।

ভিডিওর এক পর্যায়ে উনি আমার ফোন কেড়ে নিতে চান, জানতে চান আমি কে? আমি কিছু না বলে ভিডিও করি, কিন্তু পরে এক পর্যায়ে উত্তর দেই- আমি উৎসাহী জনতা।

বিষয়টি নিয়ে গত দু'দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক লেখালেখিও হচ্ছে। সেই সঙ্গে উল্টোপথে গাড়ি চালানোর পরেও পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্টের ওপর প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলের বিরুদ্ধে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি দাবী করেন, তিনি প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেননি।

(জাস্ট নিউজ/ওটি/০৯৪৫ঘ.)