সাংবাদিক আতিক হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টেও বহাল

সাংবাদিক আতিক হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টেও বহাল

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির ভিডিও এডিটর আতিকুল ইসলাম আতিক হত্যা মামলায় এক আসামির মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে রবিবার বিচারপতি শহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ে মো. খোকন নামে এক ব্যক্তির তিন বছরের কারাদণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা আসামি হলেন- শাকিল সিকদার। তার বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার সরমহল গ্রামে।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আবদুল্লাহ মো. ইবনে আলী সরকার ওরফে নাহিদ ও মো. ফোরকান। নাহিদের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুর উপজেলার রামনগরহাটি গ্রামে। আর ফোরকানের বাড়ি পটুয়াখালির কেউরাবুনিয়া গ্রামে।

আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জহিরুল হক জহির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো.মেহেদী হাসান।

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর এনটিভির ভিডিও এডিটর আতিকুল ইসলাম আতিক হত্যা মামলায় আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করা হয়।

২০১৪ সালের ২৪ জুন আতিক হত্যা মামলায় রায় দেন নিম্ন আদালত। রায়ে শাকিল সিকদারকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। আর আবদুল্লাহ মো. ইবনে আলী সরকার ওরফে নাহিদ ও মো. ফোরকানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এ ছাড়া পলাতক বরগুনার আমতলি উপজেলার কলাগাছি গ্রামের মো. খোকনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে আসামি। এ ছাড়া ডেথ রেফারেন্স হিসেবে মামলাটি হাইকোর্টে আসে।

বড় মগবাজারের ১৮০/৩ নয়াতলায় থাকতেন নিহত আতিক। ২০০৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিদিনের মত কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। পথে ঢাকা-টঙ্গী ডাইভারশন রোডের মগবাজার রেল ক্রসিংয়ের মোড়ে কয়েকজন তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা আতিকের পেটে দুটি গুলি করে। পরে ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আতিক মারা যান।

পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি আতিকের বড় ভাই আবুবকর সিদ্দিক রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ পরিদর্শক (ডিবি) আবুল খায়ের ৯ আগস্ট ২০০৯ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১০ সালের ৬ অক্টোবর আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।