ঢাকা সিটি নির্বাচন

আ'লীগের হামলায় আক্রান্ত জাস্ট নিউজের সাবেক কর্মী সুমনসহ ৬ সাংবাদিক

আ'লীগের হামলায় আক্রান্ত জাস্ট নিউজের সাবেক কর্মী সুমনসহ ৬ সাংবাদিক

শনিবার ঢাকা ভোটের দিনটা সাংবাদিকদের জন্য বিষাদ আর তিক্ততার একটি দিন। দুই সিটির ভোট সুষ্ঠু আর শান্তিপূর্ণ হবার গতানুগতিক ধোঁয়া নির্বাচন কমিশন তুললেও মাঠে তার ছিটেফোঁটা দেখা যায়নি। উল্টো ভোটগ্রহণের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ নেতাদের হামলায় ছয় গণমাধ্যম কর্মী আহত হয়েছেন।

হামলায় মারাত্মক আহত হয়েছেন জাস্ট নিউজ বিডি ডটকমের এক সময়কার ক্রাইম রিপোর্টার বর্তমানে আগামি নিউজ ডটকমের সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান সুমন।

হামলায় আক্রান্ত অন্য সাংবাদিকরা হলেন- ফটো এজেন্সি প্রেস বাংলা এজেন্সি (পিবিএ)-এর বিশেষ প্রতিনিধি জিসাদ ইকবাল, জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান আলোকচিত্রী শেখ হাসান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদক মাহবুব মমতাজি, ডেইলি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদক নূরুল আমিন এবং পরিবর্তন ডটকমের ফটো সাংবাদিক ওসমান গনি।

শুধু হামলা নয় বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে নাজেহাল ও হেনস্থার শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরা। অনেক গণমাধ্যম কর্মীর মুঠোফোন ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে। রাজধানীর পৃথক ভোটকেন্দ্রে এসব হামলার ঘটনা ঘটে।

সকালে মোহাম্মদপুরের জাফরাবাদের একটি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে হামলার শিকার হন সুমন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা তার ওপর হামলা চালায়। পরে তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিকুঞ্জে জানে আলম স্কুল কেন্দ্রে জিহাদ ইকবালকে পিটিয়ে জখম করা হয়। এসময় তার ক্যামেরাও ভাঙচুর করা হয়। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাদারটেক স্কুল কেন্দ্রে কালের কণ্ঠের প্রধান আলোকচিত্রী শেখ হাসানের ওপর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা শেখ হাসানের ক্যামেরার মেমোরি কার্ড নিয়ে যায়।

এছাড়াও দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রামপুরার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে দ্য ডেইলি স্টারের এক সাংবাদিকের ফোন ছিনিয়ে নেয় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা। পরে অবশ্য সেটি ফিরিয়ে দেন তারা। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের নাজনীন স্কুল কেন্দ্রে মানবজমিন-এর এক নারী সাংবাদিকের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে সরকার দলের নেতাকর্মীরা। পরে মোবাইলের ছবি ডিলিট করে সেটি ফেরত দেয় তারা।

এমজে/জিএস