ধামরাইয়ে সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যা

ধামরাইয়ে সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যা

ঢাকার ধামরাইয়ে এক সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার বারবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে।

নিহত সাংবাদিকের নাম জুলহাস উদ্দিন। তিনি বিজয় টেলিভিশনের ধামরাই প্রতিনিধি এবং ধামরাই প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি ছিলেন। তার বাড়ি উপজেলার হাতকুড়া গ্রামে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জুলহাস ৭ বছর আগে প্রথম বিয়ে করেন। দুই বছর আগে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বারাহিরচর গ্রামের শাহীন হোসেনের স্ত্রী সোমা আক্তারকে বিয়ে করেন। সোমা তার স্কুলজীবনের বান্ধবী।

পুলিশ জানিয়েছে, বিকালে জুলহাস মানিকগঞ্জ থেকে বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। বেলা তিনটার দিকে ধামরাইয়ের বারবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে নামেন। এর পরপরই শাহীন ও তার বন্ধু মোয়াজ্জেম হোসেন তাকে গলা কেটে হত্যা করেন। এ সময় জনতা ধাওয়া করে শাহীন ও মোয়াজ্জেমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাহীন ও মোয়াজ্জেম একই বাসে বারবাড়িয়া আসেন। তাদের মতে, পরিকল্পিতভাবেই জুলহাসকে হত্যা করা হয়েছে।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ঘটনার পর প্রথম জুলহাসকে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যার হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।

ওসি বলেন, শাহীন স্ত্রীকে বিয়ে করার ক্ষোভ থেকেই জুলহাসকে হত্যা করে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন ধামরাই প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান। তারা খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।