ড. কনক সরওয়ারের সোশাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করল বাংলাদেশের আদালত: সিপিজে

ড. কনক সরওয়ারের সোশাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করল বাংলাদেশের আদালত: সিপিজে

বাংলাদেশের উচ্চ আদালত এক নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সাংবাদিক ড. কনক সরওয়ারের ফেসবুক, ইউটিউবসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চ্যানেল বন্ধ করতে বলেছে। একজন রাজনৈতিক নেতার সাক্ষাতকার ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করাকে কেন্দ্র করেই আদালত এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এ আদেশ জারি করে। তবে আদালতের এ আদেশ রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিমূলক বলে জানিয়েছেন কনক।

সাংবাদিক অধিকার নিয়ে বিশ্বব্যাপি সোচ্চার যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) তাদের এক রিপোর্টে এসব কথা বলেছে।

এক আইনজীবির আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৮ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ একটি আদেশ জারি করেন। আদেশে সাংবাদিক কনক সরওয়ারের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুকে বহুল প্রচারিত তথ্য ভিত্তিক সাক্ষাতকার পর্বগুলোকে দেশবিরোধী আখ্যা দিয়ে এসকল কন্টেন্ট বন্ধের কথা বলা হয়।

দ্য ডেইলি স্টারকে উদ্বৃত করে সিপিজে'র রিপোর্টে বলা হয়, আদালতে ঐ আইনজীবি দাবি করেন সাংবাদিক কনক বিরোধীদলের যে নেতার সাক্ষাতকার ইউটিউবে প্রচার করেছেন তা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে।

বাংলাদেশে সরকার কর্তৃক বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ এবং গণমাধ্যম নিষিদ্ধ করার চিত্র তুলে ধরে সিপিজের রিপোর্টে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে এর আগেও বিভিন্ন যোগাযােগ মাধ্যম পুরোপুরি বন্ধ করা দেয়া হয়েছিল। ২০১৫ সালে নিরাপত্তার অজুহাতে দেশটিতে ২২ দিন ফেসবুক বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।

২০১৫ সালে সাংবাদিক কনক ৯ মাস কারাবন্দি ছিলেন উল্লেখ করে সিপিজে'র রিপোর্টে বলা হয়, একুশে টিভির সাবেক প্রতিবেদক ২০১৫ সালে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ৯ মাস জেল খেটেছেন। বাংলাদেশ ছাড়ার কারণে এখন তিনি বিদেশ থেকেই 'কনক সরওয়ার লাইভ' নামের একটি ইউটিউভ চ্যানেল পরিচালনা করছেন।

কনক সিপিজে'কে বলেন, আদালতের আদেশটি পুরোই রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিমূলক। তার ইউটিউব চ্যানেলে ১০০,০০০ ভিউয়ার এবং ফেসবুকে ৩৭,০০০ ফলোয়ার রয়েছে।

বিটিআরসিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সাংবাদিক কনকের সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চ্যানেল বন্ধের নির্দেশ বাস্তবায়নের আদেশ দিয়েছে আদালত। এবিষয়ে বিটিআরসিকে সিপিজের পক্ষ থেকে ইমেইলে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক কোন উত্তর মেলেনি।

এসজে/