যুক্তরাষ্ট্র ন্যাশনাল প্রেসক্লাবের বিবৃতি

দিনকাল পত্রিকা বন্ধের নির্দেশ শুধু গণমাধ্যম নয় বাংলাদেশের জনগণের অধিকারেও আঘাত

দিনকাল পত্রিকা বন্ধের নির্দেশ শুধু গণমাধ্যম নয় বাংলাদেশের জনগণের অধিকারেও আঘাত

সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি কর্তৃক প্রকাশিত দৈনিক দিনকাল পত্রিকা বন্ধের প্রতিবাদ জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকারের পক্ষে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দুই সাংবাদিক সংগঠন ন্যাশনাল প্রেস ক্লাব এবং ন্যাশনাল প্রেসক্লাব জার্নালিজম ইনস্টটিউট। পত্রিকাটি বন্ধ করাকে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আচরণ বলে মন্তব্য করেছে এই দুই সংগঠন। 

রবিবার এক যৌথ বিবৃতিতে ন্যাশনাল প্রেস ক্লাব প্রেসিডেন্ট এলীন ওরেইলি এবং ন্যাশনাল প্রেসক্লাব জার্নালিজম ইনস্টটিউট প্রেসিডেন্ট গিল ক্লেইন বলেন, "নির্বাচনের এক বছরেরও কম সময় সামনে রেখে বাংলাদেশে যেভাবে পত্রিকাটিকে বন্ধ করে দেবার সেটা শুধু গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় আঘাত করা নয় বরং বাংলাদেশের নাগরিকদের অধিকারেও আঘাত করা হয়েছে। রিপোর্ট এবং মতামতের মাধ্যমে জনগণকে ভোটের অধিকার সম্পর্কে অবগত হবার যে সুযোগ সেটা বাধাগ্রস্থ হয়েছে।"

পত্রিকা বন্ধের সিদ্ধান্তটি ভুল উল্লেখ করে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "খুবি স্পষ্ট মিথ্যা যেসব অভিযোগের ভিত্তিতে গত সপ্তাহে সরকারের নির্দেশে পরিচালিত বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল প্রধান বিরোধী দল বিএনপি কর্তৃক প্রকাশিত দৈনিক দিনকাল পত্রিকাটি বন্ধ করে দিয়েছে সেটা একটা ভুল সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, নিরাপত্তাহীনতা এবং বিরোধীমতের প্রতি অসহিষ্ণুতার প্রতিফলন।"

যৌথ বিবৃতিতে দিনকাল বন্ধ করার প্রতিবাদে ৫০ দেশের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের দেয়া বিবৃতি এবং গণমাধ্যমের পক্ষে নেয়া তাদের অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন এলীন ওরেইলি এবং গিল ক্লেইন। 

সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে দৈনিক দিনকাল পত্রিকা আবার চালু করার সুযোগ করে দিতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে ন্যাশনাল প্রেস ক্লাব এবং ন্যাশনাল প্রেসক্লাব জার্নালিজম ইনস্টটিউট।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন পত্রিকা বন্ধের প্রতিবাদে যে অবস্থান নিয়েছে তা বাংলাদেশের জনগণ এবং বিশ্ববাসীকে একটা আশ্বস্ত করার বার্তা পৌঁছে দিবে। আর সে বার্তাটি হলো আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণতান্ত্রিক নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। যার মধ্যে রয়েছে একটি  স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা।"

এমএন/