শহিদুল আলমকে মুক্তি দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি টিউলিপ সিদ্দিকের আহ্বান

শহিদুল আলমকে মুক্তি দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি টিউলিপ সিদ্দিকের আহ্বান

ঢাকা, ২৮ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) ‌: সাংবাদিক শহিদুল আলমকে মুক্তি দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তার ভাগনি ও বৃটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেছেন, তার খালা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের নেতৃত্বাধীন সরকার শহিদুল আলমকে আটক করেছে। এটা গভীর উদ্বেগের এবং অবিলম্বে এর ইতি ঘটা উচিত।

লন্ডনের অনলাইন দ্য টাইমস পত্রিকা এ খবর জানিয়েছে। এতে ‘এমপি আর্জেজ আন্ট টু রিলিজ বাংলাদেশ ফটোগ্রাফার’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। টিউলিপ সিদ্দিক বৃটেনে হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ট কিলবার্ন আসনে বিরোধী লেবার দলের এমপি।

শহিদুল আলম বৃটেনে নিয়মিত প্রদর্শী করেন। ওই রিপোর্টে তাকে একজন ফটোসাংবাদিক ও আর্টিস্ট হিসেবে পরিচয় দেয়া হয়েছে। শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তারে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে তার সঙ্গে যোগ হলেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেছেন, নিজের নাগরিকদের প্রতি ন্যায়বিচারের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অবশ্যই বাংলাদেশকে সমুন্নত রাখতে হবে। আমি আশা করবো যে দেশটিকে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখা হয় তাদের কাছে কড়াভাবে এই বার্তাটি পৌঁছে দেবে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়- আমি এমনটা আশা করি।

এ পর্যন্ত নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রী, আর্টিস্টস, লেখক, বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী সবাই শহিদুল আলমের মুক্তি দাবি করেছেন। টিউলিপ সিদ্দিকের আগে এ সপ্তাহে তার মুক্তি দাবি করেছেন অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অমর্ত্য সেন। তিনি শহিদুল আলমের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছেন। এ ছাড়া তার মুক্তি দাবি করেছেন স্যার রিচার্ড ব্রানসন, শ্যারন স্টোন, রিচার্ড কার্টিজ, আর্চ বিশপ ডেসমন্ড টুটুসহ অনেক জগতবিখ্যাত ব্যক্তি।

উল্লেখ্য, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে রিপোর্ট করার কারণে গত ৫ই আগস্ট ৬৩ বছর বয়সী শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। আল জাজিরা টেলিভিশনকে ছাত্র বিক্ষোভ নিয়ে সাক্ষাতকার দেয়ার পর তার বাসভবনে অভিযান চালায় ৩০ জনের বেশি নিরাপত্তা কর্মকর্তা। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বাংলাদেশের তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার অধীনে। এ আইনটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অতিশয় কঠোর (ড্রাকোনিয়ান) হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

শহিদুল আলম অভিযোগ করেছেন, আটক করে তার ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। শহিদুল আলমের রয়েছে বৃটেনে বসবাসের অনুমতি। তিনি সেখানে প্রদর্শনী করেছেন টেটে মডার্ন, হোয়াইটচ্যাপেল গ্যালারি, নিউইয়র্কের মোমা, প্যারিসের পোম্পিডোউতে।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১১২২ঘ.)