সাংবাদিক সুবর্ণা হত্যায় মামলা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

সাংবাদিক সুবর্ণা হত্যায় মামলা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

পাবনা, ২৯ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : বেসরকারি টেলিভিশন আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি সুবর্ণা নদীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পাবনা সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে নদীকে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে নদীর মা মর্জিনা বেগম বাদি হয়ে আবুল হোসেন, রাজিব হোসেনসহ আরো ৫/৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর প্রধান আসামি নদীর সাবেক শ্বশুর শিল্পপতি আবুল হোসেনকে তার মালিকানাধীন শিমলা ডায়াগনস্টিকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, দুপুরে নিহত সাংবাদিক সুবর্ণা নদীর মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এতে নিহত নদীর সাবেক শ্বশুর শিল্পপতি আবুল হোসেনসহ তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে শহরের রাধানগর মহল্লায় আদর্শ গার্লস হাইস্কুলের সামনে ভাড়া বাসার ঢোকার পথে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা সুবর্ণা নদীকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।

নদী পাবনা পৌর সদরের রাধানগর মহল্লায় আলীয়া মাদরাসার পশ্চিম পাশের একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। তার ৯ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

সম্প্রতি পাবনার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ছেলে রাজিবের সাথে ডিভোর্স হয়। ওই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিকের ছেলের সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়াকে কেন্দ্র করে আদালতে একটি মামলাও চলছে। হত্যাকাণ্ডে নদীর সাবেক স্বামী জড়িত রয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার।

নিহত নদীর মা মর্জিনা খাতুন বলেন, তার মেয়েকে আবুল হোসেন, রাজিবসহ ৫/৬ জন কুপিয়ে হত্যা করেছে। তার মেয়ের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্থির দাবি করেন তিনি।

নদীর একমাত্র মেয়ে জান্নাত বলেন, তার মাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে শুনে দৌড়ে নিচে নেমে এসে সে দেখতে পায় মা মাটিতে পড়ে আছে। তার মায়ের হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবী করেছে শিশুটি।

সাংবাদিক সুবর্না নদীকে হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানবন্ধন করেছে পাবনায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা।

মানববন্ধনে পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আঁখিনুর রহমান রেমন হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনকে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন। এছাড়া হত্যাকান্ডে জড়িতদের দৃষ্টানন্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান তিনি।

এদিকে সুবর্ণা নদীর মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯২৮ঘ.)