শহিদুল আলমের মুক্তি চেয়েছেন অর্ধশত বৃটিশ শিল্পী

শহিদুল আলমের মুক্তি চেয়েছেন অর্ধশত বৃটিশ শিল্পী

ঢাকা, ৩ সেপ্টেম্বর (জাস্ট নিউজ) : এবার ফটোসাংবাদিক ড. শহিদুল আলমের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন অর্ধশত বিশিষ্ট বৃটিশ শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। বৃটিশ চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিল্পী ম্যাককুইন, নৃত্যশিল্পী আকরাম খান, চিত্রকর অ্যান্টনি গোরমলে ও অনিশ কাপুরসহ প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তি আটক শহিদুল আলমের ওপর সুবিচার ও বিচারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তাকে সমর্থন জানাতে লন্ডনে তার ছবির একটি প্রদর্শনী আয়োজনেরও পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। বৃটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের এক রিপোর্টে এসব কথা বলা হয়েছে।

বৃটেনে বসবাসরত শহিদুল আলমের ভাতিজি সোফিয়া করিমের লেখা এক খোলা চিঠিতে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই স্বাক্ষর করেছেন সেদেশের শিল্প জগতের ৪৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। চিঠিতে বলা হয়েছে, শহিদুল আলমকে যে ৫৭ ধারায় আটক করা হয়েছে সেটা মূলত বাংলাদেশের বাকস্বাধীনতা হরণের অস্ত্র হিসেবে পরিচিত। স্বাক্ষরকারীরা বলেছেন, বাংলাদেশ নিজেকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে। তাই দেশটির উচিত ড. আলমসহ সকল নাগরিকের বাকস্বাধীনতার অধিকারকে সম্মান জানানো। কিন্তু সেখানে পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থা তার সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে।

ফ্রান্সিস মরিস ও নিকোলাস চুলিনান, সারাহ মুনরো, সোফি ওয়েটসহ লন্ডনের বিভিন্ন নামকরা চিত্র ও আলোকচিত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচালকেরা এ খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন।

এর পেছনে তারা বাকস্বাধীনতা, শিল্পের স্বাধীনতা ও সত্য বলার অধিকারের কথা উল্লেখ করেছেন। তারা বলেন, শহিদুল আলমের সঙ্গে যা করা হয়েছে তা একটি সাধারণ এবং সহিষ্ণু সমাজের কেন্দ্রীয় স্তম্ভগুলোর উপরে কঠিন আঘাত।

সোফিয়া করিম বলেন, আমি ভেবেছিলাম এখানকার শিল্পীরা আমার খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করবে। কিন্তু আমি আবেগাপ্লুত হয়েছি যে, বৃটেনের বৃহৎ সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নেতারাও প্রকাশ্যে আমার চাচাকে সমর্থন জানিয়েছেন। এছাড়াও তিনি দাবি করেন, শহিদুল আলম ভয়াবহ মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়, শহিদুল আলম তার ছবির মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহারকে তুলে ধরতে চেয়েছেন। রোহিঙ্গা সংকটসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ছবি তুলেছেন তিনি। বাংলাদেশে তিনি দৃক ও পাঠশালা নামের দুটি মিডিয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। গত ৫ই আগস্ট ৬৩ বছর বয়স্ক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এ চিত্রগ্রাহককে তার নিজ বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় ৩০ জনেরও অধিক সদস্যের পুলিশের একটি দল। তার বিরুদ্ধে দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগ আনা হয়েছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সমর্থন দেয়ায় সেসময় তিনিসহ আরো অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/২৩১৫ঘ.)