রাষ্ট্রপতির গণসংবর্ধনায় যাওয়ার পথে আ.লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ-গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ৬

রাষ্ট্রপতির গণসংবর্ধনায় যাওয়ার পথে আ.লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ-গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ৬

কিশোরগঞ্জ, ৮ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : কিশোরগঞ্জে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মোটরবহর নিয়ে যাওয়ার পথে ভৈরব কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে এমপি এড. সোহরাব উদ্দিন গ্রুপ এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. জায়েদ মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৬জন। স্থানীয় লোকজন এবং পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে কটিয়াদী, ভাগলপুর এবং কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।

জানা গেছে, সোমবার দুপুরে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য এমপি সোহরাব উদ্দিন বিশাল মোটরবহর নিয়ে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হলে আচমিতা চারিপাড়া নামক স্থানে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জায়েদ মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, এমপির গাড়ি বহরের গতি রোধ করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জায়েদ মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ ফাঁকাগুলি চালায় এবং গাড়িতে হামলা করে। ওই সময় এমপির গানম্যান পাল্টা গুলি ছুঁড়লে উভয় পক্ষের মাঝে তুমুল সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এমপি সোহরাব উদ্দিনের গাড়ি বহর থেকে লোকজন একযোগে ধাওয়া দিলে জায়েদসহ তার দলের বেশ কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এক বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়।

উত্তেজিত লোকজন বাড়িটিকে ঘিরে রাখে। পরে পুলিশ ওই বাড়ি থেকে জায়েদসহ শাকিল, লিটন, আলমগীর, আল আমিন ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এদিকে গুলিবিদ্ধ অনিক (২০), বাচ্চু মিয়া (৪০) বোরহান উদ্দিন(৩০), ইউসুফ (৩৫), কাউসার (৩৫) ও প্রীতমকে(৩২) কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

আহত কাসেম, বোরহান, মাসুক, নাইম ও ইফতেখার ও সানোয়ারকে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদের নাম পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। সংঘর্ষ শুরু হলে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে এবং সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

মোটরবহরে থাকা বহু নারী পুরুষ অনুষ্ঠানে যোগদান না করে বাড়ি ফিরে যায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং তখন যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান তারা।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৮৩১ঘ.)