বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

ঢাকা, ১১ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে একমত। তবে সারাবিশ্বের সঙ্গে আমরাও মনে করি বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কণ্ঠরোধে ও বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়ন।’

৮ অক্টোবর বাংলাদেশ পাশ হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এরপর থেকেই বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এর সমালোচনা করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের ওই মুখপাত্র বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারকে এই আইন পুনরায় পর্যালোচনার আহ্বান জানাই। আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের প্রতি অঙ্গীকার অটুট রেখে যেন বাংলাদেশ বিষয়টি বিবেচনা করে বৈধ বাকস্বাধীনতার চর্চা যেন ব্যহত না হয় সে বিষয়টি খেয়াল রাখে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই অনলাইনে মতপ্রকাশসহ সব ধরনের বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। এটি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় অন্যতম চাবিকাঠি।

যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ফোর্বসের মতে, আইনটি মূলত ঔপনিবেশিক আমলের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট অনুসারে তৈরি করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের কার্যক্রমের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

ফোর্বস জানায়, ’১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রপাগান্ডা ছড়ানোয় ১৪ বছর পর্যন্ত জেল এবং উষ্কানি ও আতঙ্ক ছড়ায় এমন তথ্য প্রকাশে ৩ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে আইনটিতে।

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/১০৪৭ঘ.)