তিন দিনে ৩৭০০ মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে বিএনপি

তিন দিনে ৩৭০০ মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে বিএনপি

ঢাকা, ১৪ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : একাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহীদের মাঝে গত সোমবার থেকে দলের মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করে বিএনপি। পরপর দুইদিন সুষ্ঠুভাবেই ফরম বিক্রি চলছিল। কিন্তু বুধবার তৃতীয় দিনে হঠাৎ করেই পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধলে প্রায় তিন ঘন্টা মনোনয়ন বিক্রি ও জমাদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

তারপরও বুধবার প্রায় পাঁচশ নেতা দলের মনোনয়নপত্র কিনেছেন। অন্যদিকে মনোনয়নপত্র পূরণ করে জমা দিয়েছেন ৩৯১ জন।স তিন দিনে মোট প্রায় তিন হাজার ৭০০ জন নেতা দলের মনোনয়নপত্র কিনেছেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিক্রি হয় ৪৪৮ টি। আর জমা পড়ে ৩৯১ টি। তিনি বলেন, পুলিশের আকস্মিক আক্রমণে বহু নেতাকর্মী আহত হন। অনেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে কার্যালয়ে আসতেও পারেননি। ফলে মনোনয়পত্র বিক্রি ও জমাদান কার্যক্রম প্রায় তিন ঘন্টা বন্ধ রাখা হয়।

তারপরও আমাদের মনোনয়পত্র বিক্রি ও জমাদান একেবারে থেমে যায়নি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে নেতারা কার্যালয়ে আসছেন। প্রথম দিনে ১৩২৬, দ্বিতীয় দিন ১৮৯৬ এবং গতকালসহ তিন দিনে প্রায় ৩৭০০ ফর্ম বিক্রি হয়েছে।

বুধবার তৃতীয় দিনে বিএনপির যারা মনোনয়নপত্র কিনেছেন তাদের অন্যতম হলেন- বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ঢাকা-৮, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার ঢাকা-৬, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমা পাবনা-৩, বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার কুমিল্লা-১০, চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ শুক্কুর পাটোয়ারী চাঁদপুর-২, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু টাঙ্গাইল-২, ছাত্রদলের সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট নেত্রকোণা-১।

বুধবার যারা মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন তাদের অন্যতম মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বাগেরহাট-৪ আসনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জামালপুর-৩ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, গাইবান্ধা-৩ আসনে জেলা বিএনপির নেতা ডা. মাইনুল হাসান সাদিক।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/২২৩৩ঘ.)