যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে

ঢাকা, ১ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের ১২টি টিম পাঠাবে। এছাড়া স্থানীয়ভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষনের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের যোগান দেবে দেশটি।

অন্যদিকে ইউরোপীয় দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে নিজেরাই মাঠে থাকবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নির্বাচন পর্যবেক্ষক না পাঠালেও দুই জন বিশেষজ্ঞ সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। তারা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সাথে কথা বলছেন। এছাড়া স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমেও ইইউ নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে।

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা উইলিয়াম মুয়েলার রয়টার্সকে বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যুক্তরাষ্ট্র ১২টি পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে। প্রত্যেকটি দলে দুজন করে পর্যবেক্ষক থাকবেন। তারা দেশের অধিকাংশ স্থানে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। মোয়েলার আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে পরিকল্পনা করেছে, তাকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরাও এমন নির্বাচন আশা করছি এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের অর্থায়ন করছি।’

মোয়েলার বলছেন, ‘বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যথেষ্ট হয়রানি ও ভয়ভীতির অভিযোগ উঠেছিল, যা ভোটার উপস্থিতি কমানোর জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। এবারের জাতীয় নির্বাচনে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে আশা করছি।’

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গণতান্ত্রিক ইনস্টিটিউট গত অক্টোবরে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে করা একটি প্রতিবেদনে বলেছিল, রাজনৈতিক মেরুকরণ, উত্তেজনা ও উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এবারের নির্বাচন হবে। উইলিয়াম মোয়েলার বলেন, ব্যাংককভিত্তিক এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন ৩০ জনের একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে। ১৫ হাজারের মতো বাংলাদেশি পর্যবেক্ষককে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ অর্থায়ন করবে বলেও জানান তিনি।

জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফাহরেনজোল্জ বলেছেন, নির্বাচনের ওপর আমরা গভীরভাবে নজর রাখব। আমি নিজেই পরিদর্শনে যাব।

ভারতীয় হাইকমিশনের একজন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানো পরিকল্পনা তাদের নেই। তবে ঢাকার কাছ থেকে অনুরোধ পেলে দিল্লি তা বিবেচনায় নেবে।

নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন না পাঠানোর ব্যাপারে ঢাকায় ইইউ’র রাষ্ট্রদূত রিনসে তিরিঙ্ক বলেছেন, একটি পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক মিশন পাঠানো বিশাল কর্মযজ্ঞ। এতে বেশ বড় সংখ্যক পর্যবেক্ষক থাকেন। কয়েক মাস ধরে মিশন প্রস্তুতি নেয়। বাজেট বিবেচনায় এটি খুবই ব্যয়বহুল। এ কারণে বাংলাদেশের এবারের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক মিশন না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভাল স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা রয়েছেন। আসন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষনে তারা সম্ভবত চমৎকার ভূমিকা রাখবেন। পর্যবেক্ষক মিশন না পাঠালেও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহের ওপর গভীর নজর রাখবে ইইউ।

২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনে কেবলমাত্র ভারত ও ভুটান থেকে পর্যবেক্ষক এসেছিল। ইইউকে অনুসরন করে যুক্তরাষ্ট্র, কমনওয়েলসহ অন্যান্যরা বাংলাদেশে পর্যবেক্ষক পাঠানো থেকে বিরত ছিল। বিশ্বব্যাপী এই একতরফা নির্বাচনের ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯৪৬ঘ.)