শিক্ষকের মুক্তির দাবিতে চতুর্থ দিনেও উত্তাল ভিকারুননিসা

শিক্ষকের মুক্তির দাবিতে চতুর্থ দিনেও উত্তাল ভিকারুননিসা

ঢাকা, ৯ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার অভিযোগে আটক শিক্ষক হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে চতুর্থ দিনেও বিক্ষোভে উত্তাল ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাস। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন।

রবিবার সকাল ৭টায় স্কুলের মূল ফটকের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা গেছে। এর আগের কর্মসূচিতে সাবেক শিক্ষার্থীদের দেখা গেলেও আজকে তেমন কেউ ছিল না।

একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফায়জা আক্তার বলেন, আমরা একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছি। অন্য ক্লাসের কোনো শিক্ষার্থী এখানে নেই, তাদের পরীক্ষা চলছে।

অনেক অভিভাবককে দেখা যায় পরীক্ষা শেষে তাদের সন্তানদের বাসায় নিয়ে যেতে।

এর আগে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে তাদের দাবি না মানলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রোজা আক্তার।

তিনি বলেন, দাবি না মানলে আমরা ক্লাসে ফিরব না। একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহী বলেন, আমরা অনশন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শিক্ষকরা নিষেধ করায় আমরা তা করিনি। এ জন্য আমরা বিক্ষোভে অংশ নিয়েছি।

অরিত্রি যে শ্রেণিতে পড়তেন, সেই নবম শ্রেণির শ্রেণিশিক্ষক ছিলেন হাসনা হেনা। আন্দোলনের মুখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তাকে বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয়টির পরিচালনা পর্ষদ, তার এমপিও বাতিল করেছে মন্ত্রণালয়।

হাসনা হেনার পাশাপাশি ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও প্রভাতি শাখার প্রধান জিনাত আখতারও বরখাস্ত হয়েছেন। অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারীর মামলায় তারাও আসামি।

অরিত্রি গত সোমবার আত্মহত্যা করার পর থেকে উত্তেজনা চলছে রাজধানীর নামি এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

অভিযোগ উঠেছে-পরীক্ষার সময় অরিত্রির কাছে মোবাইল ফোন পাওয়ার পর তার বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে অপমান করেছিলেন অধ্যক্ষ। সে কারণে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে।

তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, অরিত্রি রবিবার বার্ষিক পরীক্ষায় মোবাইল ফোনে নকলসহ ধরা পড়েছিল।

(জাস্ট নিউজ/এমজে/১১১০ঘ.)