মুম্বাইয়ের হাসপাতালে আগুন, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

মুম্বাইয়ের হাসপাতালে আগুন, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : ভারতের মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ওই ঘটনায় আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। মৃতদের মধ্যে একটি পাঁচ মাসের শিশু রয়েছে বলেও জানা যায়। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে ধারণা করা হচ্ছে।

সোমবার বিকেলে মুম্বাইয়ের আন্ধেরির অ্যামপ্লয়িজ স্টেট ইনস্যুরেন্স করপোরেশন (ইএসআইসি) হাসপাতালে আগুন লাগে। গতকালই ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এনডিটিভি জানিয়েছে আজ মঙ্গলবার সকালে আরো দুই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ওই হাসপাতাল থেকে ১৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। উদ্ধারকর্মীদের পাশাপাশি উদ্ধারকাজে যোগ দেয় অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও।

আগুনে গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। অগ্নিকাণ্ডের পরই শুরু হয়ে যায় উদ্ধার কাজ। ভেতরে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা আগুনের মধ্যে দাঁড়িয়ে বারান্দা ও জানালার পাশে দাঁড়িয়ে চিৎকার করতে থাকেন রোগীরা। মই লাগিয়ে জানালার কাঁচ ভেঙে দড়ি বেঁধে রোগীদের নীচে নামিয়ে আনেন উদ্ধারকর্মীরা। ওই হাসপাতাল থেকে এরইমধ্যে দেড়শতাধিক রোগীকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অন্যান্য হাসপাতালে। উদ্ধার হওয়া রোগীদের আশপাশের কুপার, হোলি স্পিরিট, হীরানন্দানি, সিদ্ধার্থ, সেভেন হিলস এবং পি ঠাকরে ট্রমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা যায়। আহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জানা যায়, আটতলা হাসপাতালটির সবচেয়ে নীচের তলায় প্রথমে আগুন লাগে। নীচে একটি রাবারের গুদাম থেকে আগুন ছড়ায় ফায়ার সার্ভিসের ধারণা। আগুন ধীরে ধীরে হাসপাতালের উপরের তলাগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের আতঙ্কে হাসপাতাল জুড়ে রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। আতঙ্কে অনেক রোগী হাসপাতালের দোতলা ও তিনতলা থেকে নীচে ঝাঁপ দেন।

মুম্বাইয়ের মেয়র ভি মহাদেবেশ্বর জানিয়েছেন, ওই হাসপাতালের অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা দেখাশোনার দায়িত্বে ছিল মহারাষ্ট্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (এমএসডিসি)। ওই প্রতিষ্ঠানের কোনো গাফিলতি রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে আগুন লাগার সঠিক কারন এখনও জানা যায়নি বলেও জানান তিনি।

এদিকে এমএসডিসির ডেপুটি চিফ এম ডি ওগলে জানান, ১৫ দিন আগে ওই হাসপাতালের অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হয়েছিল। তবে তাতে পাস করতে পারেনি হাসপাতাল। আগুনের উৎসস্থল খুঁজে সাইরেন বাজানো এবং তারপর স্বয়ংক্রিয় পানি ছিটানোর ব্যবস্থা ঠিকমতো কাজ করেনি।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/০৯৩৩ঘ.)