সাংবাদিকদের তোপের মুখে সিইসি, তার কেন্দ্রেই নেই ধানের শীষের এজেন্ট

সাংবাদিকদের তোপের মুখে সিইসি, তার কেন্দ্রেই নেই ধানের শীষের এজেন্ট

ঢাকা, ৩০ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রবিবার রাজধানীর উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরের আইইএস স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেন সিইসি কে এম নুরুল হুদা। কিন্তু তার কেন্দ্রেই ধানের শীষের কোনো এজেন্ট ছিল না। এ নিয়ে সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়েন তিনি।

এ সময় সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, ধানের শীষের এজেন্টরা কেন্দ্রে না আসলে কী করার? তাঁরা কেন্দ্রে কেন আসেননি বা কেন কোনো এজেন্ট নেই, সেটা প্রার্থীর নির্ধারিত এজেন্টরাই বলতে পারবেন।

বেলা পৌনে ১১টার দিকে কেন্দ্রটিতে ভোট দিতে আসেন কে এম নুরুল হুদা। সাংবাদিকেরা তার কাছে জানতে চান, কেন্দ্রে কেন ধানের শীষের কোনো এজেন্ট নেই?

জবাব দিতে গিয়ে সিইসি আরও বলেন, তারা (ধানের শীষের এজেন্ট) কেন আসতে পারেননি, তা তিনি জানেন না। তবে পোলিং এজেন্টদের কেউ আসতে পারছেন না, বা তাদের আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে-এমন কোনো অভিযোগ তাদের কাছে করেননি। আইইএস স্কুল কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট আছে কি না, এ বিষয়টি তিনি (সিইসি) খেয়াল করেননি। এ নিয়ে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকেও জিজ্ঞাসা করা হয়নি বলে জানান তিনি।

সারাদেশে নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে কে এম নুরুল হুদা বলেন, এখন পর্যন্ত সারা দেশে নির্বাচনের পরিবেশ ভালো। কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইইএস স্কুল কেন্দ্রের নির্বাচনী পরিবেশও ভালো বলে তিনি জানান।

দেশের বিভিন্ন জায়গার ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনারকে অবগত করে, এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, কেন্দ্রগুলোতে নিয়োজিত পুলিশ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া আছে।

সারা দেশের সব কেন্দ্র ঢাকায় বসে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না জানিয়ে সিইসি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে। বিশৃঙ্খলা হওয়া কেন্দ্রগুলোতে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পরিবেশ ভালো হলে আবার কেন্দ্রগুলোতে ভোট চালু করা হবে। তবে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তাই তাঁদের দায়িত্ব পালনে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন বলেও জানান তিনি।

কিছু কিছু ভোটকেন্দ্রে গোপন কক্ষ খোলা রেখে ভোটারদের ভোট দিতে বাধ্য করা হচ্ছে-এই অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এমনটা হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কোনো ব্যক্তি বা কর্মকর্তা এমনটা করতে পারেন না

এবারের নির্বাচন আগের বারের নির্বাচনের কালিমা ঘোচাতে পারবে কি না-এমন প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, নির্বাচন শেষ হোক। এর আগে কিছু বলা যাবে না। তবে কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি ভালো।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৬১৪ঘ.)