ইটালিতে ছেলের ফেসবুকে বিএনপি সমর্থিত পোস্ট দেয়ায় ফেনিতে মাকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ

ইটালিতে ছেলের ফেসবুকে বিএনপি সমর্থিত পোস্ট দেয়ায় ফেনিতে মাকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ

নাম মিনার আহমেদ। থাকেন ইটালিতে। পরিবারের ভরণপোষণ যোগাতে ২০১৫ সালের জুন মাসে ইটালিতে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকেই তিনি সেখানে আছেন। তিনি একজন বিএনপি সমর্থক। বিএনপিকে তার ভালো লাগে। যার কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি বিভিন্ন সময় বিএনপি সমর্থিত পোস্ট দেন এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত দলের পক্ষের নিউজ ফেসবুকে শেয়ার করেন। এই অপরাধে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করেছে পুলিশ।

শুধু তাই নয়, ছেলে মিনার আহমেদ তার ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার কারণে তার মা মোর্শেদা সুলতানা মেরিকে (৫০) মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে বাড়ি থেকে ধরে থানায় নিয়ে গেছে দাগনভূঁইয়া থানা পুলিশ। মিনার আহমেদ’র বাড়ি ফেনীর দাগনভূঁইয়া উপজেলার দক্ষিণ কলিমপুর গ্রামে। তার বাড়ির নাম মেহের আলী পন্ডিত বাড়ি।

মিনার আহমেদ ইটালি থেকে ফোনে জাস্ট নিউজ বিডি ডটকম’কে বলেন, ‘আমি একজন বিএনপি সমর্থক। বিএনপিকে আমার ভালোলাগে। এজন্য আমি ফেসবুকে বিএনপি সমর্থিত বিভিন্ন পোস্ট দেই এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত দলের পক্ষের নিউজ ফেসবুকে শেয়ার করি। এই অপরাধে স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে পুলিশ। আজ পুলিশ আমার মাকে বাড়ি থেকে ধরে থানায় নিয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘এর আগে আমি ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার কারণে আমার ছোট ভাইকে (নবম শ্রেনী পড়ুয়া) স্থানীয় প্রভাবশালীরা স্কুল থেকে বের করে দিয়েছিলো। এরপর থেকেই তারা আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে।’

এ বিষয়ে জানতে ফোনে যোগাযোগ করা হলে দাগনভূইঞা থানার ওসি সালেহ আহমেদ পাঠান জাস্ট নিউজ বিডি ডটকম’কে বলেন, ‘মিনার আহমেদ তার ফেসবুকে বিভিন্ন ধরণের পোস্ট দিচ্ছেন এজন্য পুলিশ বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে আনুমানিক ৫ দিন আগে একটি মামলা করেছে। সেই মামলায় তার মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় আনা হয়েছে। তাকে আটক করা হয়নি।’

এদিকে মিনার আহমেদ বলেন, ‘তার মাকে প্রায় ৫ ঘণ্টা আগে বাড়ি থেকে ধরে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ, এখনও ছাড়েনি।’

তার মাকে কেনো ছাড়া হয়নি এ বিষয়ে জানতে আবারো দাগনভূইঞা থানার ওসি সালেহ আহমেদ‘র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জাস্ট নিউজ বিডি ডটকম’কে বলেন, ‘আমি ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলবো।’ এই কথা বলে তিনি কলটি কেটে দেন। এখন আর ফোন ধরছেন না।