‘দুর্নীতিতে বাংলাদেশের ৪ ধাপ অবনতি’ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর প্রকাশিত এই প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে দেয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘টিআই এর লোকাল শাখার কাছে আমরা ব্যাখ্যা চাই যে, কীভাবে এবং কী কী কারণে দুর্নীতি বেড়েছে। ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগার না দিলে সেই রিপোর্ট কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। উই ওয়ান্ট টু স্পেসিফিকেশন। মুখের কথায় নম্বর করা যায় না।’
টিআইবির মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুদকের স্বাধীনতা খর্ব করার মতো কোনো আইন সংসদে হয়নি। টিআই আমাদের প্রতিপক্ষ নয়, আমরাও টিআই এর প্রতিপক্ষ নই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, সারা বিশ্বে অর্থপাচারের বিষয় আছে। আমরা দুর্নীতি বন্ধ করতে পারবো না, কমাতে পারবো।
প্রসঙ্গত, এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ মাইডাস ভবনে নিজেদের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বজুড়ে দুর্নীতির ধারণাসূচক (সিপিআই) ২০১৮-এর প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম। ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ২৬ স্কোর পেয়ে আগের বছরের (২০১৭) তুলনায় ৪ ধাপ অবনতি হয়েছে। অর্থাৎ ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে বাংলাদেশে দুর্নীতি বেড়েছে।
একে/