কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা শুনলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা শুনলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসেছেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বিশেষ দূত ও হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি।

মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন তিনি।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে পৌঁছান জোলি। এর পর এক্সটেনশন-৪ ক্যাম্প ও সেখানকার শিক্ষাকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন তিনি। পরে কুতুপালং ৩নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় ক্যাম্পে নির্যাতিত রোহিঙ্গা নারীদের দুর্দশার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন।

দুপুরে কুতুপালং ৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হোপ ফাউন্ডেশন পরিচালিত হাসপাতাল পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। এ ছাড়া বিকাল ৩টার দিকে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৫ ব্লকে প্রেস ব্রিফিংয়ে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, সোমবার বিকালে কক্সবাজারের টেকনাফের চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেন তিনি। কক্সবাজারের টেকনাফের চাকমারকুল ক্যাম্প পরিদর্শনকালে তাদের সঙ্গে খেলা করেন জোলি।

তাদের অভিজ্ঞতার কাহিনী শুনে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বিশেষ দূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি অবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। বাংলাদেশে এই প্রথম আসা জোলি সোমবার সকালে ঢাকায় নেমেই কক্সবাজার যান।

আমেরিকান অভিনয়শিল্পী অ্যাঞ্জেলিনা ২০১২ সাল থেকে ইউএনএইচসিআরের বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করছেন। তিন দিনের সফরের বেশিরভাগ সময়ই জোলি কক্সবাজারে কাটাবেন।

পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের ইনানীতে পাঁচতারকা হোটেলে ওঠেন জোলি। সেখান থেকে দুপুর ১টায় তিনি হোয়াইক্যাং ইউনিয়নে চাকমারকুল ২১ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে যান। এ সময় তিনি গণধর্ষণ ও ভয়াবহ নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি ক্যাম্পের জি, ই ও ডি ব্লকে রোহিঙ্গা বসতি ঘুরে ঘুরে দেখেন। ক্যাম্পের ডি ব্লকের কমিউনিটি সেন্টারে রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন জোলি। ডি-ব্লকের বাসিন্দা রোহিঙ্গা নেতা রশিদ উল্লাহ জানান, ‘হলিউড অভিনেত্রী ডি-ব্লকের অন্তত ৩০ রোহিঙ্গা নারীর সঙ্গে কথা বলেছেন।

এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে ধর্ষণের শিকার নারীদের বুকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। জোলি তাদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন। বেশ কিছু সময় তিনি রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে কাটান। পরে বিকাল ৪টার দিকে তিনি ক্যাম্প ত্যাগ করে হোটেলে ফেরেন।

এমজে/