রোহিঙ্গা গণহত্যা বিচারের পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের দাবি

রোহিঙ্গা গণহত্যা বিচারের পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের দাবি

 

রোহিঙ্গা গণহত্যা বিচারের পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন গণহত্যাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক গ্রেগরি স্টানটন।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘বার্মায় নিরাপত্তা ও জবাবদিহি’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। খবর আনাদোলুর।

গ্রেগরি স্টানটন বলেন, তিনি আশাবাদী যে আগামী বছরগুলোয় এই গণহত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তবে শুধু বিচারের মাধ্যমেই রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে না। তাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতির পাশাপাশি অমানবিক কার্যকলাপের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক তথ্যানুসন্ধানী গ্রুপের সদস্য রাধিকা কুমারস্বামী বলেন, বর্তমান আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্য নিয়ে রোহিঙ্গা গণহত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের সম্মুখীন করা যায়।

এ ছাড়া এই গণহত্যায় উসকানিদাতা হিসেবে ফেসবুককে দায়ী করে তাদেরও বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান।

রোমভিত্তিক পিপলস ট্রাইব্যুনালের সাধারণ সম্পাদক জিয়ানি তগনানি বলেন, গণহত্যার মুখে সবচেয়ে বড় অপরাধ নীরব থাকা। আর এ কাজটি করে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি নিজেও এ গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। তাই তাকেও বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিআর আবরার বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও প্রত্যাবাসন নিয়ে যে ধরনের সিদ্ধান্তই নেয়া হোক, সেই আলোচনায় রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের সমর্থনে স্থানীয় নাগরিক সংস্থাগুলো যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, তিনি সেসবের সচিত্র বিবরণ তুলে ধরেন।

এমজে/