এসএসসি’র প্রশ্নপত্রে আবারো ত্রু টি, পুরোপুরি উত্তর করতে পারেনি পরীক্ষার্থীরা

এসএসসি’র প্রশ্নপত্রে আবারো ত্রু টি, পুরোপুরি উত্তর করতে পারেনি পরীক্ষার্থীরা

এসএসসি পরীক্ষায় আবারো প্রশ্নপত্র ভুলের অভিযোগ উঠেছে। এবার গণিত পরীক্ষায় ইংরেজি ভার্সনে প্রশ্নপত্র ছাপার ত্রু টির কারণে অনেক পরীক্ষার্থীই ৭০ নম্বরে পুরোপুরি প্রশ্নের উত্তর করতে পারেনি।

শিক্ষাবোর্ড বলছে, মুদ্রণ ত্রু টি। পরীক্ষা চলাকালীনই সংশোধন করা হয়েছে। এতে পরীক্ষার উপর প্রভাব পড়েনি। তবে কোনো শিক্ষার্থী যদি এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত শনিবার গণিত সৃজনশীল পরীক্ষা ইংরেজি ভার্সনে এসএসসি পরীক্ষা প্রশ্নপত্র বিতরণের সময় দেখা যায় ৪ পৃষ্ঠা প্রশ্নের ২য় পৃষ্ঠায় ৩টি প্রশ্ন ছাপা হয়নি। যে কারণে কেন্দ্র সচিব সঠিক প্রশ্নপত্র এসে কপি করে তা বিতরণ করেন। এর মধ্যে প্রায় ৩০ মিনিট সময় পাড় হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, এই ৩০ মিনিট তাদের হাতে কোনো প্রশ্নই ছিল না। হাতে প্রশ্ন না থাকায় প্রায় ৩০ মিনিট কিছু না লিখেই বসে থাকতে হয় নবাব হাবিবুল্লাহ্ কেন্দ্রের সিট পড়া মাইল স্টোনের ইংরেজি ভার্সনের পরীক্ষার্থীদের। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরাও।

তারা বলেন, অনেক বাচ্চাই নার্ভাস হয়ে গেছে। অনেকেই জানা প্রশ্নেরও ভুল উত্তর দিয়েছে। তবে কেন্দ্র সচিব অভিযোগ স্বীকার করে দায়ভার চাপান শিক্ষা বোর্ডের কাঁধে।

নওয়াব হাবিবুল্লাহ্ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের কেন্দ্র সচিব মো. হারুনুর রশিদ বলেন, আমাদের পাশের উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রেও একই সমস্যা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা অনেক স্ট্রেস ছিল। আমরা চেষ্টা করেছি তাদের স্ট্রেস দূর করার। এই দোষ অবশ্যই শিক্ষা বোর্ডের।

এ বিষয়ে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলছেন , মুদ্রণ ত্রুটি কোনো বড় ব্যাপার নয়, তবে এর কারণে কোন শিক্ষার্থীর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ পেলে সে বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

ঢাকার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বলেন, কিছু প্রশ্নে মুদ্রাজনিত সমস্যা ছিল। এজন্য তাদের সময় নষ্ট হয়েছে এটা নয়। কেউ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলে তদন্ত করা হবে।

শুধু এ কেন্দ্রই নয় । রাজধানীর বাড্ডা আলাতুনন্নেছা, মিরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও গভঃ ল্যাবরেটরি স্কুলেও প্রশ্নপত্রে এমন ভুলের অভিযোগ পেয়েছে শিক্ষা বোর্ড। এর আগে বাংলা পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ভুলের অভিযোগ উঠে পরে এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয় যার প্রতিবেদন দেয়ার কথা আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি।

এমআই