আ’লীগ নেতার হাতুড়িপেটায় বিএনপি নেতার মৃত্যু

আ’লীগ নেতার হাতুড়িপেটায় বিএনপি নেতার মৃত্যু

আওয়ামী লীগ নেতার সমর্থকদের হাতুড়িপেটায় আহত মাগুরার মহম্মদপুরের ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা মো. কাবিল মোল্ল্যা (৪৫) মারা গেছেন।

শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা রয়েছে।

কাবিল মোল্লা উপজেলার নহাটা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছিলেন।

জেলা বিএনপির সদস্য, নহাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আকতারুজ্জামান জানান, নিহত কাবিল মেম্বারসহ পানিঘাটা, জয়রামপুরের প্রায় অর্ধশত মানুষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কয়েক দিন আগে থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলার ভয়ে বাড়িঘর ছাড়া ছিলেন। গত ৩০ জানুয়ারি মাগুরার পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে আবেদন করে বাড়িঘরে ফিরে আসার জন্য লিখিত আবেদন করেন। পুলিশ সুপারের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তারা গ্রামে ফিরে আসেন। কিন্তু আবেদন করেও শেষ রক্ষা হলো না।

তিনি জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায় নহাটা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বিএনপি নেতা কাবিল মোল্ল্যা। তখন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল সিদ্দিকী লিটনের সমর্থক ওবায়দুল মেম্বার, মিটুল, হামিদুর ও তুরফান কাবিল মেম্বারকে ধরে পানিঘাটার পাঁচমাথা এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে কাবিলকে হাতুড়িপেটা করে মারাত্মকভাবে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পরে তাকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। তাকে বৃহস্পতিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর নেয়া হলে শুক্রবার ভোরে তিনি মারা যান।

মহম্মদপুর থানার ওসি মো. রবিউল ইসলাম দাবি করেন, জমিজমা নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষরা গত বুধবার সন্ধ্যায় পানিঘাটা গ্রামের বাসিন্দা কাবিল মেম্বারকে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে ফরিদপুর হাসপাতালে পাঠালে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তিনি মারা যান।

হত্যার ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান জানান, তিনি সবাইকে সহাবস্থানে থাকার জন্য বলেছিলেন। কাবিল মেম্বার নিহতের বিষয়ে অভিযোগ থানায় গেলে হত্যা মামলা করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমআই