যানজটে বিশ্বের শীর্ষ শহর ঢাকা

যানজটে বিশ্বের শীর্ষ শহর ঢাকা

বিশ্বের শীর্ষ যানজটের শহর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। বহুজাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান নামবিও’র প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ট্রাফিক ইনডেক্স-২০১৯’তে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

শনিবার নামবিওর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ সূচকের তথ্যমতে, বিশ্বের সবচেয়ে যানজটপূর্ণ শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ঢাকা আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা। এর আগে ২০১৮ এবং ২০১৭ সালে ঢাকার অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। তবে ২০১৬ সালে ঢাকার অবস্থান ছিল তৃতীয় এবং ২০১৫ সালে এ অবস্থান ছিল অষ্টম।

বিভিন্ন দেশের রাজধানী ও গুরুত্বর্পূণ ২০৭ টি শহরকে বিবেচনায় নিয়ে এ তালিকা প্রণয়ন করছে নামবওি। যানজটরে জন্য ঢাকার স্কোর ২৯৭.৭৬। আর ২৮৩.৬৮ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। আর ২৭৭.৮১ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।

এদিকে ২০১৯ সালেও বিশ্বের সবচেয়ে কম যানজটপূর্ণ শহরের মধ্যে গতবারের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা। এরপর রয়েছে চেক রিপাবলিকের শহর বিয়ারনো, ডেনমার্কের কোপেনহেগেন, সুইডেনের গোথেনবার্গ ও জার্মানীর ফ্রাঙ্কফুট।

এ সূচক প্রণয়নে কয়েকটি উপসূচক ব্যবহার করেছে নামবিও। এর মধ্যে রয়েছে- সময় সূচক, সময় অপচয় সূচক, অদক্ষতা সূচক ও কার্বন নিঃসরণ সূচক। এর মধ্যে সময় সূচক,সময় অপচয় সূচক ও অদক্ষতা সূচকে ঢাকার অবস্থান রয়েছে শীর্ষে। আর কার্বন নিঃসরণ সূচকে ঢাকার অবস্থান ১০৯ তম।

সময় সূচকের ক্ষেত্রে কোনো গন্তব্যে পৌঁছানোকে বোঝানো হয়েছে। এক্ষেত্রে কর্মস্থল বা স্কুলে যাতায়াত সময়কে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আর সময় অপচয় উপসূচকে অসন্তোষের বিষয়টি উঠে এসেছে। জনসংখ্যার আধিক্য ও ঘনবসতিও এক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয়েছে। অদক্ষতার সূচক মূলত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা নির্দেশ করে। অর্থাৎ ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে কী প্রভাব ফেলছে, তা বিবেচনা করা হয়েছে। আর যানজটে সময় অপচয়ের কারণে নিঃসরিত অতিরিক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা নির্দেশ করে কার্বন নিঃসরণ সূচক।

বিশ্বের বিভিন্ন শহরের নানা পরিসংখ্যান সংগ্রহ করে অনলাইনে তা প্রকাশ করে নামবিও। এর মধ্যে রয়েছে- জীবনযাপনের ব্যয়, অপরাধের হার, স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মান ও যানজটের অবস্থা। প্রতিষ্ঠানটি তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ফোর্বস, বিজনেস ইনসাইডার, টাইম, দ্য ইকোনমিস্ট, বিবিসি, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, চায়না ডেইলি, দ্য টেলিগ্রাফসহ বিশ্বের খ্যাতনামা বিভিন্ন সংবাদপত্র ব্যবহার করে।

এমআই