বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে আসছেন জাতিসংঘের স্পেশাল র‌্যাপোর্টিউর

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে আসছেন জাতিসংঘের স্পেশাল র‌্যাপোর্টিউর

ঢাকা, ১৭ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : মিয়ানমার সফরের অনুমতি পান নি মিয়ানমারের মনাবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল র‌্যাপোর্টিউর ইয়াংহি লি। তাই তিনি বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড সফরে আসছেন। মিয়ানমার সরকার তার সঙ্গে সহযোগিতা বা কাজ করতে অস্বীকৃতি জানানো সত্ত্বেও লি প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন তিনি তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাবেন। বৃহস্পতিবার তার বাংলাদেশে পৌঁছার কথা। এখানে ২৪ শে জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবেন। এরপর তিনি যাবেন থাইল্যান্ডে।

সেখানে অবস্থান করবেন ৩০ শে জানুয়ারি পর্যন্ত। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক অফিস থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। ১৩ দিনের এ সফর শুরুর প্রাক্কালে ইয়াংহি লি বলেছেন, আমার সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়ে আমার দায়িত্ব পালন করে যাবো। মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ও নির্যাতিত মানুষদেরকে সহায়তা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আর এ কাজে আমাকে ম্যান্ডেট দিয়েছে জাতিসংঘ। কিন্তু আমাকে মিয়ানমারে প্রবেশের অনুমতি দেয় নি সে দেশের সরকার। আমাকে দেয়া ম্যান্ডেটের পক্ষে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তারা। এ জন্য আমার কাজ অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে। কিন্তু সম্ভাব্য সব উপায়ে আমি নির্যাতিতদের কাছ থেকে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব বিষয় জানার চেষ্টা করবো। এ জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোতেও আমি যাবো তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে।

বাংলাদেশ সফরকালে ইয়াংহি লি ঢাকায় পৌঁছার পর কক্সবাজারে যাবেন রোহিঙ্গাদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে। সেখানে তাদের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। অন্যদিকে থাইল্যান্ডে তিনি ব্যাংকক, মাই সোত এবং চিয়াং মাই সফর করবেন। ইয়াংহি লি বলেছেন, মিয়ানমার সরকার আমাকে পক্ষপাতী হিসেবে অভিযুক্ত করেছে। একই সঙ্গে তারা মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই আমি কর্তৃপক্ষকে তাদের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানাবো। নির্যাতিতদের বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানাবো। তিনি বলেন, এসব নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলার জন্য দায়বদ্ধ আমি। আমাকে তা থেকে কেউ বিরত রাখতে পারবে না। এ জন্যই আমি প্রতিবেশী দেশগুলোতে যাবো। প্রত্যক্ষদর্শী বা নির্যাতিতদের সঙ্গে কথা বলবো। তাদের কাছ থেকে প্রকৃত সত্য জানার চেষ্টা করবো।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/১৪৫০ঘ.)