চার জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৪

চার জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৪

কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ও শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

কুমিল্লার তিতাসে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মো. আল-আমিন নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলবার, একটি এলজি ও ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জেলার তিতাস উপজেলার ঝড়িকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আল-আমিন ওই উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামের মাঈনুদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারের রিয়াজ ট্রেডের ৫ জন সেলসম্যান সিএনজি অটোরিকশাযোগে বৃহস্পতিবার সকালে টাকা নিয়ে হোমনা যাওয়ার পথে গৌরীপুর-হোমনা সড়কের তিতাস উপজেলার দড়িকান্দি সেতু অতিক্রম করার সময় একদল ছিনতাইকারী তাদের কাছ থেকে বিকাশ ডিলারের ৫৮ লাখ টাকা ছিনতাই করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের ২ সদস্যকে ১৫ লাখ টাকাসহ আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে আটক আল-আমিনকে সঙ্গে নিয়ে জেলা ডিবি পুলিশ ও তিতাস থানা পুলিশ অবশিষ্ট টাকা এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে নামে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তিতাসের দড়িকান্দি নামক এলাকায় পৌঁছালে একদল ডাকাত পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে আল-আমিনকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়লে ডাকাতদল পালিয়ে যায়।

তিতাস থানা পুলিশের ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আহসানুল ইসলাম জানান, ডাকাতদের একটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আল-আমিনের ওপর পড়ে। এতে সে আহত হয়। এ সময় আমরা তাকে প্রথমে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ময়মনসিংহেও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আব্দুর রশিদ (৫০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের পুলিশ লাইন হাসপাতাল চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

আব্দুর রশিদ শহরের ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন হোমিও মেডিকেল কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের দাবি, নিহত রশিদ একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদক, বিস্ফোরকসহ সাতটি মামলা রয়েছে।

টেকনাফে শালবাগান আনসার ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে আনসার কমান্ডারকে হত্যাকারী ও অস্ত্র লুটের ঘটনার মূল নায়ক শীর্ষ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নুরুল আলম র্যাবের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। নিহত নুরুল আলম মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডু থানার বাসিন্দা। আজ শুক্রবার ভোরে টেকনাফের দমদমিয়া এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

সে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি।

র‌্যাব জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে টেকনাফের দমদমিয়া এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নুরুল আলম নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

র‌্যাব আরো জানিয়েছে, শীর্ষ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নুরুল আলম ২০১৭ সালের ১ মার্চ আনসার ক্যাম্পের লুণ্ঠিত ৬টি ম্যাশিনগান ও রাইফেলসহ র‌্যাবের হাতে আটক হয়েছিল। পরে সে জামিনে বের হয়ে এসে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যা, অপহরণ, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে।

খুলনার নিরালা কবরস্থান সংলগ্ন দীঘিরপাড় এলাকায় 'বন্দুকযুদ্ধে' এক মাদকবিক্রেতা নিহত হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের নাম–পরিচয় জানা যায়নি।
আজ শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

এমজে/