ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো অনুমোদিত কিনা, জানে না রাজউক

ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো অনুমোদিত কিনা, জানে না রাজউক

পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউকের) অনুমোদিত কিনা, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি রাজউকের অথরাইজড অফিসার মো. নুরুজ্জামান জহির।

সরকারি ছুটির কারণে কাগজপত্র দেখা সম্ভব হয়নি উল্লেখ করে রাজউকের এ কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে এখনো খোঁজ খবর নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) গঠিত ১১ সদস্যের দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়। একপর্যায়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন কমিটির সদস্য রাজউক কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জহির। কথা বলেন কমিটির অন্য সদস্যরাও।

তিনি বলেন, আপনাকে (সাংবাদিক) বুঝতে হবে এটা পুরান ঢাকা। এখানে অনেক আগে থেকেই ভবন তৈরি হচ্ছে। এ বিষয়ে রাজউক অনেকদিন ধরে কাজ করছে। তবে সবার আগে দরকার সচেতনতা। এভাবে ভবন নির্মাণের নিয়ম নেই বলেও জানান তিনি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিমকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির অপর সদস্যরা হলেন প্রফেসর ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী (পুর কৌশল বিভাগ-বুয়েট), প্রফেসর ড. ইশতিয়াক আহমেদ (পুর কৌশল বিভাগ-বুয়েট), লে. কর্নেল এস এম জুলফিকার রহমান (পরিচালক-ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স), মো. আসাদুজ্জামান (অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী-ডিএসসিসি), মো. জাফর আহম্মেদ (অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী-ডিএসসিসি), মো. সিরাজুল ইসলাম (প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ-ডিএসসিসি), মো. নুরুল ইসলাম (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী-রাজউক), মো. শাহ আলম (পরিচালক-রাজউক) ও সদস্য সচিব মুন্সী মো. আবুল হাসেম (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী-ডিএসসিসি)।

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৭৮ জন পুড়ে মারা গেছেন। চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানশনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আবাসিক ভবনটিতে কেমিক্যাল গোডাউন থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

এমজে/