বৈরী আবহাওয়ায় সেন্টমার্টিনে ২৫০০ পর্যটক আটকা

বৈরী আবহাওয়ায় সেন্টমার্টিনে ২৫০০ পর্যটক আটকা

বৈরী আবহাওয়ার কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়েছেন আড়াই হাজারের বেশি পর্যটক।

বৈরী আবহাওয়ায় সমুদ্র উত্তাল থাকায় গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার সকালে টেকনাফ থেকে কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিনে যেতে না পারায় পর্যটকরা আটকা পড়েছেন। তবে পর্যটকদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।

আজ সকাল থেকে বৃষ্টি না থাকলেও আকাশ মেঘলা রয়েছে। হালকা বাতাসের কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। তবে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া সব ফিশিং ট্রলার নিরাপদে উপকূলে ফিরে এসেছে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, দ্বীপে বেড়াতে এসে আড়াই হাজারের বেশি পর্যটক আটকা পড়েছেন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে কোনো জাহাজ দ্বীপে না যাওয়ায় পর্যটকরা টেকনাফে ফিরতে পারেননি। আটকা পড়া পর্যটকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার চেষ্টা চলছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল হাসান জানান, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী সাতটি জাহাজ চলাচল করছে। তবে হঠাৎ বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে জাহাজগুলো সেন্টমার্টিনে যায়নি। এর আগে বেড়াতে যাওয়া আড়াই হাজারের মতো পর্যটক দ্বীপে আটকা পড়েছেন বলে জেনেছি। তাঁরা যাতে হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আজ দুপুরের দিকে কয়েকটি জাহাজ গিয়ে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসবে বলেও জানান রবিউল হাসান।

কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক জানান, হঠাৎ ঝড়ো হাওয়াসহ বৈরী আবহাওয়ার কারণে সমুদ্র উত্তাল থাকায় সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া সব ফিশিং ট্রলার উপকূলে ফিরে এসেছে। মাঝি-মাল্লারা সময়মতো ট্রলার নিয়ে উপকূলে ফিরে আসায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, দমকা হাওয়ার কারণে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া ও হালকা বৃষ্টিপাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এমজে/