টাকা-ইয়াবা রেখে আসামিকে রেহাই, ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ

টাকা-ইয়াবা রেখে আসামিকে রেহাই, ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ

ইয়াবা মামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠায় নারায়ণগঞ্জের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ও নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারকে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি কামরুল ইসলামকে প্রত্যাহারের নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী এক মাসের মধ্যে এ মামলার তদন্ত শেষ করতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ইয়াবার মামলায় আটক আসামি পুলিশ সদস্য আসাদুজ্জামানের জামিন শুনানি নিয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি আদালতে নজরে আসে। তখন আদালত এ মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করে আদেশ দেন।

আদালতের এ আদেশের পর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এ মামলার বর্তমান তদন্তকারি কর্মকর্তা ঢাকার বাইরে বিশেষ অভিযানে থাকায় এ মামলার সাবেক একজন তদন্ত কর্মকর্তা (সিআইডি) মেহেদী মাকসুদ আদালতে হাজির হন। তখন আদালত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আজকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতে নির্দেশে আজ তিনি হাজির হলে তার বক্তব্য শুনে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি কামরুল ইসলামকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট কোর্টের সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।

এ মামলার বিবরণে জানা যায়, গত বছর ৭ ই মার্চ নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ সদর থানার একজন এএসআই মোহাম্মদ সরওয়ার্দীর বাসা থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ও ৫ লাখ টাকা উদ্ধার করে। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়।

ওই মামলার আসামি পুলিশ সদস্য আসাদুজ্জামান ও মোহাম্মদ সরওয়ার্দী আদালতে স্বীকারুক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে বলেন, এটি তারা নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) র নির্দেশে করেছেন। তার নির্দেশেই টাকা ও ইয়াবা রেখে আসামিদের ছেড়ে দিয়েছেন।

এমআই